গণপিটুনির পর মূত্র পান করানো হয়েছিল পাঞ্জাবের দলিত শ্রমিককে
গণপিটুনির পর পাঞ্জাবের দলিত শ্রমিককে জোর করে মূদ্রপান করানো হয়েছিল। তদন্তে উঠে এলো এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। গণপিটুনির পরের দিনই ঘটেছিল ঘটনাটি। তারপরেই মারা যান তিনি। তিনদিন বাড়িতে অসুস্থ অবস্থায় পড়েছিলেন গত ১০ নভেম্বর শরীর আরও খারাপ হলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন জগমাল। তারপরেই মারা যান তিনি।

ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে চার জনকে। অমরজিত সিং, তাঁর ছেলে রিঙ্কু, রিঙ্কুর দুই বন্ধু লাকি এ বিন্দর। একই গ্রামের বাসিন্দা অভিযুক্তরা। গত ২১ অক্টোবর থেকেই এঁদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছিল জগমাল। এরা সকলেই জাঠ শিখ সম্প্রদায়ের বাসিন্দা। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছে পুলিস।
জগমালের বয়ান অনুযায়ী এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। গত সাতই নভেম্বর রিঙ্কুর বাড়িতে জগমালকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। ২ থেকে ৩ ঘণ্টা তাঁকে বেঁধে রাখা হয়েছিল। তারপরে জগমালের হাত ধরে রেখে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। জগমাল মারের চোটে অচৈতন্য হয়ে পড়তে তারে বাড়ির বাইরে রাস্তার উপরে গিেয় ফেলে রেখে আসে তারা।