বিজেপি ত্রিপুরাকে একদলীয় রাজনীতির ল্যাবরেটরি বানাচ্ছে, দিল্লিতে গিয়ে গলা ফাটালেন মানিক
বিজেপি ত্রিপুরাকে একদলীয় রাজনীতির ল্যাবরেটরি বানাচ্ছে, দিল্লিতে গিয়ে গলা ফাটালেন মানিক
বিজেপি চায় একটাই দল থাকবে ত্রিপুরায়। সেই লক্ষ্য নিয়েই সন্ত্রাসের রাজনীতি শুরু করেছে বিজেপি। বিরোধীদের মুখ বন্ধ করার জন্য লাগাতার হামলার রাস্তা নিয়েছে বিপ্লব দেব সরকার। বামেদের উপর হামলা দিয়ে শুরু করেছিল বিজেপি, এখন কংগ্রেস ও তৃণমূলের উপরও হামলা শুরু করেছে।
বিরোধীদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি
মঙ্গলবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। তিনি বলেন, ত্রিপুরায় বিরোধীদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। কিন্তু বিরোধী মুখ এত সহজে বন্ধ করা সম্ভব নয়। দিল্লি থেকে তিনি কার্যত হুঙ্কার ছাড়লেন বিজেপির বিরুদ্ধে।
বামেদের পর কংগ্রেস, তৃণমূলকে নিশানা বিজেপির
সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন ত্রিপুরা সিপিএমের মুখ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। মানিকবাবু বলেন, দেশের সংবিধান কাজ করে না ত্রিপুরায়। স্থানীয় নির্বাচনে বিরোধী দলগুলিকে মনোনয়ন দাখিল করতে দেওয়া হচ্ছে না। স্থানীয় ভোটে ব্যাপক রিগিং করা হচ্ছে। এক সময় বামেদের উপর আক্রমণ দিয়ে শুরু করেছিল বিজেপি। এবার কংগ্রেস, তৃণমূল এবং অন্যান্য বিরোধী দলকে নিশানা করা হচ্ছে।
সিপিএমের তিন বিধায়কের উপর হামলা হয়েছে
বিজেপি বিরোধী বিধায়কদের উপর হামলা করতে ছাড়ছে না। মানিকবাবু বলেন, ত্রিপুরায় ৬০ জনের মধ্যে সিপিএমের বিধায়ক সংখ্যা ১৬। বেশিরভাগ বিধায়ক তাঁদের নির্বাচনী কেন্দ্রে যেতে পারছেন না। আমি নিজে অন্তত ১৫ বার চেষ্টা করেছি আমার বিধানসভা ক্ষেত্রে যেতে। কিন্তু বারবার চেষ্টা করেও যেতে পারিনি। আমাকেও যেতে দেওয়া হয়নি। সিপিএমের তিন বিধায়কের উপর হামলা চালানো হয়েছে।
দেড় বছরে অন্তত ৩৫ জন সাংবাদিকের উপর হামলা
মানিক সরকার বলেন, শুধু বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা নন, রাজ্য শাসক দলের হামলার শিকার সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও। গত দেড় বছরে অন্তত ৩৫ জন সাংবাদিকের উপর হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের। আগরতলায় ৪ মিডিয়া হাউসের উপরে হামলা হয়েছে।
বিজেপির পারফরম্যান্স শূন্য, ভোটে গালভরা প্রতিশ্রুতি
মানিক সরকার বলেন, বিজেপির শাসনে নানা ঘটনা পরম্পরা দেখে মনে হচ্ছে ত্রিপুরা দেশের বাইরে। দেশের কোনও আইন এখানে চলে না। কেন বিরোধীদের উপরে এই হামলা? মানিক সরকার বলেন, গত কয়েক বছরে বিজেপির পারফরম্যান্স শূন্য। ভোটের সময় যেসব গালভরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তার কিছুই করতে পারেনি বিজেপি। বিজেপি বেকারদের ঠকিয়েছে, চাকরিজীবীদের ঠকিয়েছে, গ্রামগঞ্জের সাধারণ মানুষকে ঠকিয়েছে।
ত্রিপুরাকে একদলীয় রাজনীতির ল্যাবরেটরি বানাচ্ছে বিজেপি
মানিক সরকার বলেন, আসলে বিজেপি চাইছে ত্রিপুরায় একটাই দল থাকবে। ত্রিপুরাকে একদলীয় রাজনীতির একটা ল্যাবরেটরি হিসেবে তৈরি করতে। এতে যদি ওরা সফল হয়ে যায়, তাহলে দেশের অন্যান্য রাজ্যেও ওরা তা করবে। এই ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।