কোভিশিল্ড নাকি বিশল্যকরণী! প্রথম ডোজেই উঠে দাঁড়ালেন ৫ বছর বিছানায় থাকা রোগী
কোভিশিল্ড নাকি বিশল্যকরণী! প্রথম ডোজেই উঠে দাঁড়ালেন ৫ বছর বিছানায় থাকা রোগী
কোভিশিল্ডে কি শুধু করোনা আটকায়? এতদিন শুধু সেটায় প্রচলিত রয়েছে, তবে এবার বোধহয় মিরাকেল বড়ি নামও দিয়ে দেওয়া হতে পারে কোভিশিল্ডকে! কারণ প্রায় কয়েক ঘন্টায় চমৎকার করে ফেলেছে কোভিশিল্ড। রামায়ণে উল্লেখ রয়েছে লক্ষণের শক্তিশেলের সময় হনুমান বিশল্যকরণী নিয়ে আসে৷ তারপর তা বেঁটে লক্ষণের মুখে দেওয়ার কয়েক মুহূর্তেই জেগে উঠেছিলেন লক্ষণ৷ কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজও যেন সেরকমই কিছুটা চমৎকার করে দেখিয়েছে ঝাড়খণ্ডের বোকারোতে!
ঝাড়খণ্ডের ৫৫ বছর বয়সী ব্যক্তি, যিনি পাঁচ বছর আগে একটি সড়ক দুর্ঘটনার পরে শয্যাশায়ী ছিলেন, কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়ার পরেই হাঁটতে এবং কথা বলতে শুরু করেছেন এই ব্যক্তি। বোকারো জেলার পিটারওয়ার ব্লকের উত্তরসারা পঞ্চায়েত এলাকার সালগাদিহ গ্রামের বাসিন্দা দুলারচাঁদ মুন্ডার সঙ্গেই ঘটেছে এরকম চমৎকার ঘটনা। তিনি যে চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসাধীন ছিলেন তাঁরায় বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন এই চমৎকারি অসুস্থতা মুক্তির বিষয়টি!
কি করে এরকম চমৎকার সম্ভব হল তা খতিয়ে দেখতে সরকারভাবে তিন সদস্যের একটি মেডিকেল টিম গঠন করেছেন চিকিৎসকরা। তারা বলেছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন সালগাদিহ গ্রামের বাসিন্দা দুলারচাঁদ মুন্ডা, পাঁচ বছর আগে একটি দুর্ঘটনার পর শয্যাশায়ী ছিলেন এবং হাঁটতে ও কথা বলতে অক্ষম ছিলেন। পিটারওয়ার কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের ইনচার্জ ডাঃ আলবেলা কেরকেটা জানিয়েছেন, একজন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ৪ জানুয়ারী মুন্ডাকে তার বাড়িতে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন দিয়েছিলেন। পরের দিন, পরিবারের সদস্যরা হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন যখন তারা দেখেছিলেন যে মুন্ডার প্রাণহীন দেহটি কেবল নড়াচড়া করতেই শুরু করেনি একই সঙ্গে তিনি কথা বলার ক্ষমতাও ফিরে পেয়েছেন!
বোকারোর সিভিল সার্জন ডাঃ জিতেন্দ্র কুমার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে কিভাবে এই মীরাকেল ঘটল, এবং মুন্ডার সুস্থ হওয়ার পেছনে সত্যিই কোভিশিল্ডের কোনও যোগ রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য তিন সদস্যের একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, গত এক বছর ধরেও মুন্ডা সম্পূর্ণ শয্যাশায়ী ছিলেন।
প্রসঙ্গত
কোভিশিল্ডের
প্রথম
ডোজ
নেওয়ার
পর
তিনি
কেবল
উঠেই
দাঁড়াননি
সঙ্গে
হাঁটতেও
শুরু
করেছেন
এবং
কথা
বলতেও
পারছেন
যা
তার
পরিবারের
কাছে
এখনও
বিস্ময়কর
বিষয়!
এ
প্রসঙ্গে
ডক্টর
কেরকেটা
বলেন,
আমরা
মুন্ডার
রিপোর্ট
দেখেছি।
এটি
একটি
তদন্তের
বিষয়।
মুন্ডা
তাঁর
পরিবারের
একমাত্র
উপার্জনকারী
ব্যক্তি,
যিনি
পাঁচবছর
আগে
সড়ক
দুর্ঘটনায়
গুরুতর
আহত
হন।
জেলা
সদর
থেকে
প্রায়
৫০
কিলোমিটার
দূরে
সালগাদিহের
বিস্মিত
গ্রামবাসী
মুন্ডার
সুস্থ
হওয়ার
বিষয়টিকে
ঐশ্বরিক
হস্তক্ষেপ
বলে
অভিহিত
করেছেন।