বাজারে করোনা ভ্যাকসিন আসলে নতুন অরাজকতা তৈরি হতে পারে! কোন কোন ফ্যাক্টর ঘিরে উদ্বেগ
কোভিড থেকে মুক্তি পেতে যে রাস্তা মানবসভ্যতা দেখছে, সেই রাস্তাও কাঁটায় ভরা। খুব একটা সহজে এই সংকট যে কাটবে না, তার কিছু ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই মিলেছে। প্রথমত প্রাকৃতিক ভারসাম্য ঘিরে কিছু অস্থিরতা দেখা গিয়েছে, আবার মানব সমাজে ভ্যাকসিন আসলেও তা অরাজকতা তৈরি করতে পারে।
কোন কোন ফ্যাক্টর রয়েছে উদ্বেগে?
প্রথমত বিশ্বের এত সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে একযোগে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব নয়। ভ্যাাকসিন দিতে গেলে, ধাপে ধাপে দিতে হবে, আর সেই সময়ের মধ্যে মৃত্যু মিছিল, কোভিড যন্ত্রণা ঘিরে হাহাকার পড়তে শুরু করতে পারে ভ্যাকসিনের জন্য। ফলে কালোবাজারি অবিশ্যম্ভাবী একটি বিষয় যা নজরে রাখতে হবে সরকার থেকে প্রশাসনকে।
আর কোন দিক ঘিরে সমস্যা?
যে ভ্যাকসিন একবার একজন ব্যক্তি ব্যবহার করবেন , সেই ভ্যাকসিনই তাঁকে দ্বিতীয় ডোড হিসাবে নিতে হবে। অর্থাৎ জ্বল বা হজমের ওষুধ যেভাবে কাজ না দিলে তার ব্র্যান্ড পাল্টে খেতে পারেন মানুষ, ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে তা হবে না। ফলে কার্যকরী ভ্যাকসিন চাহিদার তুলনায় কমলেই সমস্যা বাড়বে।
ভ্যাকসিন রাখতে হবে কোন তাপমাত্রায়?
বলা হচ্ছে করোনা ভ্যাকসিন মাইনাস ৯৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। তবে গ্রাম্য এলাকা বা খুব গরমের দেশগুলিতে যেখানে পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে, তাদের পক্ষে এটা সম্ভব নয়। ফলে ক্ষোভ বিক্ষোভ বাড়তে শুরু করবে মানুষের। যা সামলানোর চাপ বাড়বে প্রশাসনের।
ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে পরিবেশের
বিশেষজ্ঞদের দাবি, এক রোগ থেকে মুক্তি পেতে জলজ প্রাণী হত্যা বিশ্বকে নিঃস্ব করে দিতে পারে। কারণ, ভ্যাকসিনের জন্। হাঙ্গরের দেহ থেকে প্রাকৃতিক তেল নেওয়া হচ্ছে, যার ফলে প্রচুর হাঙ্গর হত্যা হচ্ছে। কেউ জানে না, করোনার অতিমারী কোথায় গিয়ে ঠেকবে। তারমধ্যে এভাবে প্রাণী হত্যা রীতিমতো কালো অন্ধকারের দিকে নিয়ে যেতে শুরু করেছে। প্রসঙ্গত,এবার করোনার ভ্যাকসিনের জন্য হাঙ্গর হত্যার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে।