৩৬টির মধ্যে ২৮টি জেলায় করোনা সংক্রমণ তীব্রভাবে ছড়াচ্ছে, কেন্দ্রকে নতুন করে ভাবাচ্ছে মহারাষ্ট্র
গত ২ সপ্তাহ ধরে মহারাষ্ট্রের ৩৬টি জেলার মধ্যে ২৮টি জেলায় দৈনিক করোনা ভাইরাস মাথা চাড়া দিয়ে দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, গত ১০দিনে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে ২১টি জেলাতেও। লাটুর, হিঙ্গোলি, পারবানি এবং নান্দেদের মতো মারাঠা প্রদেশে বৃহৎ সংখ্যায় সক্রিয় করোনা কেস ধরা পড়েছে। সাম্প্রতিক এই ঘটনায় মহারাষ্ট্র সরকারের চিন্তা দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছে।

নতুন হটস্পট চারটে জেলা
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে সক্রিয় কেস বেড়েছে, অন্যদিকে বিদর্ভ, অমরাবতী, আকোলা ও যবতমল নতুন হটস্পট হিসাবে দেখা দিয়েছে রাজ্যে। নতুন কেস নিয়ে বিদর্ভ এখন ফেব্রুয়ারি মাসে করোনার উৎসকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে, এরপরই রয়েছে নাগপুর, পুনে, মুম্বই, থানে ও অমরাবতীর নাম। এই পাঁচ জেলার সক্রিয় করোনা কেস মহারাষ্ট্রের মোট সক্রিয় কেসের ৬৫ শতাংশ। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ৫০ লক্ষ বাসিন্দাদের শহর নাগপুরে করোনা কেস বেশি মুম্বইয়ের তুলনায়, যেখানে ১ কোটি ৩০ লক্ষ লোকের বাস। বিপরীত দিকে রাজ্যের মধ্যে অমরাবতীতে করোনা পজিটিভের হার সবচেয়ে বেশি ৪১.৫ শতাংশ।

মুম্বইতেও করোনা কেস বাড়ছে
শুক্রবার মুম্বইতে কোভিড-১৯-এর সংখ্যা ১,০৩৪ থেকে বেড়ে ৩,২৩,৮৭৭-তে গিয়ে পৌঁছেছে। এদিন তিনজনের মৃত্যু নিয়ে মৃতের সংখ্যা ১১,৪৬১ বলে জানানো হয়েছে সরকারিভাবে। বাণিজ্য নগরী মুম্বইতে টানা তিনদিন করোনা কেস হাজারের ওপর, যেখানে বুধবার ও বৃহস্পতিবার যথাক্রমে ১,১৪৫ ও ১,১৬৭ কেস সনাক্ত হয়েছে। সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, মামলার দৈনিক বৃদ্ধি ১৮ ফেব্রুয়ারিতে ০.১৭ শতাংশ থেকে বেড়ে এখন ০.২৭ শতাংশে দাঁড়িয়ে আছে।

কেস দ্বিগুণ হওয়ার সময় কমেছে
বিএমসির তথ্য অনুসারে, কেস দ্বিগুণ হওয়ার সময় ৪১৭ দিন থেকে কমে ২৫৬ দিনে এসে দাঁড়িয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের মতে, ১৫-২১ ফেব্রুয়ারি অমরাবতীতে সবচেয়ে বেশি সাপ্তাহিক বৃদ্ধি দেখা দিয়েছে ১৯.৪ শতাংশ, এরপর রয়েছে আকোলা (১০.৫ শতাংশ) এবং বুলধানা (৬.০১ শতাংশ)।

সক্রিয় করোনা কেস দুই জেলায়
মারাথাওয়াড়া ও ঔরঙ্গাবাদে সক্রিয় কেস লাফিয়ে বাড়ছে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে যেখানে রেকর্ড করা কেসের সংখ্যা ছিল ৩৪৭, তা শুক্রবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২,০৫২-তে। প্রত্যেক জেলাকে টেস্ট বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যাতে করোনা সংক্রমণ রোধ করা যেতে পারে।