কোভিড ওয়ার্ডের বাতাসে করোনার নয়া স্ট্রেন জীবিত থাকে দীর্ঘক্ষণ, চাঞ্চল্যকর দাবি গবেষকদের
কোভিড ওয়ার্ডের বাতাস ঘুরে বেরাচ্ছে করোনা ভাইরাসের নয়া স্ট্রেন। চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন গবেষকরা। হায়দরাবাদের সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি এবং চণ্ডীগড়ের ইনস্টিটিউট অব বাইক্রোবাইয়াল টেকনোলজি যৌথ গবেষণার এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। হায়দরাবাদ ও চণ্ডীগড়ের তিনটি করে মোট ৬টি হাসপাতালে গবেষণা চালিয়ে এই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন তাঁরা।

গবেষণার জন্য বিজ্ঞানীরা তিনটি হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ড ও নন কোভিড ওয়ার্ডের বাতাসের নমুনা সংগ্রহ করে। দুই জায়গার বাতাসে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব নিয়ে গবেষণা করেন তাঁরা। আরটি-পিসিআর টেস্টে দুই এলাকার বাতাসেই করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পেয়েছেন গবেষকরা। তাতে দেখা গিয়েছে করোনার নয়া স্ট্রেনের রোগীদের যে ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে সেখানকার বাতাসে ছড়িয়ে রয়েছে করোনা ভাইরাস। যেখানে কোভিড রোগীরা বেশি সময় থাকছেন সেখানে ২ ঘণ্টার চেয়েও বেশি সময় ধরে সক্রিয় থাকছে করোনা ভাইরাস। ২ মিটার দূরত্ব বজায় রেখেও করোনা ঘুরে বেরাচ্ছে বাতাসে।
তবে উপসর্গহীন করোনা রোগীদের থেকে ভাইরাস সংক্রমণ ছড়াচ্ছে না। অবশ্য ফ্যান এবং এসি ছাড়াই তাঁরা যে ঘরে থাকছেন সেখানে কম ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। গবেষকদের এই গবেষণাতেই স্পষ্ট হয়েছে বাতাসে অনেক্ষণ জীবিত থাকতে পারে করোনা ভাইরাস। এবং বাতাসের মাধ্যমেও করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে। কাজেই করোনা সংক্রমিত রোগীদের যত দ্রুত আইসোলেশনে পাঠানো যাবে তত দ্রুত সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে বলে দাবি করেছেন গবেষকরা।