করোনা আতঙ্কের মধ্যেই কি বিয়ে কিংবা অনুষ্ঠানবাড়ি গিয়েছেন! কিছু সরকারি নির্দেশ একনজরে
করোনা আতঙ্কের মধ্যেই কি বিয়ে কিংবা অনুষ্ঠানবাড়ি গিয়েছেন! কিছু সরকারি নির্দেশ একনজরে
বিশেষজ্ঞদের দাবি, করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির অন্যতম উপায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। যেকোনও মূল্যে একজন ব্যক্তিকে অপরের থেকে ১ মিটারের দূরত্বে থাকতে হবে। এমন বার্তাই দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফেও। তবে করোনা যবে থেকে ভারতে হানা দিয়েছে, তবে থেকে বহু অনুষ্ঠানে মানুষ জমায়েত করেছেন। আর সেই প্রেক্ষাপটেই এসেছে করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে সরকারি অ্যাডভাইসারি।
করোনা ও পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি
মঙ্গলবার রাতে কলকাতার জুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি করে লন্ডন ফেরত এক তরুণের করোনায় পজিটিভ হওয়ার খবর। এরপর এদিন মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানান যে কোনও ভিআইপি বা সেলেব এই ভাইরাসের হাত থেকে রেহাই পাবেন না। অন্যদিকে , যাতে বড় জনসমাগম না হয়, তার জন্য পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত সরকারি অফিস আগামিকাল বিকেল ৪ টে থেকে বন্ধ করে দেওয়ার পথে এগিয়ে যায় সরকার।
করোনা আতঙ্কের জের দার্জিলিং কালিম্পং এ?
দেশের সমস্ত নামী প্রতিষ্ঠান ক্রমাগত বন্ধ হচ্ছে। দর্শনীয় স্থানও বন্ধ করা হচ্ছে যাতে জনসমাগম না হয়। এদিকে, জনসমাগম রুখতে দার্জিলিং ও কালিম্পং ও রুদ্ধ । উল্লেখ্য, বর্তমানে ভারত করোনা ভাইরাসের স্টেজ ২ তে রয়েছে। আর তারজন্যই একাধিক নির্দেশিকা এসেছে সরকারের তরফে।
সরকারি নির্দেশিকা ও জমায়েত
কর্ণাটক ও দিল্লি সরকার ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে যে আগামী কয়েক দিনে জমায়েত না হয় তার বন্দোবস্ত করতে। এজন্য কর্ণাটক ও দিল্লিতে বন্ধ রেস্তোরাঁ থেকে সিনেমা হল। বন্ধ বিয়ের জমায়েতের অনুষ্ঠান। দিল্লি জানিয়েছে, কোনও জমায়েতেই ৫০ এর বেশি মানুষ হলে , তা নিষিদ্ধ। এমন পরিস্থিতিতে কেরল থেকে মহারাষ্ট্রের ও একই পরিস্থিতি। ফলে বিয়ে বা অনুষ্ঠান বাড়িতে জমায়েত ঘিরে শুরু হয়েছে আশঙ্কা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতর কোন নির্দেশিকা দিয়েছে
এদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যদফতর জানিয়েছে, বিশ্ব জুড়ে কোভিড ১৯ মোকাবিলায় জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। সরকার জানিয়েছে, যাতে সমাগম এড়ানো যায়, তার জন্য অনুষ্ঠান বাতিল বা পরে করার পদক্ষেপ নিতে হবে। কোনও মতেই এই রোগ ছড়াতে দেওয়া যাবে না।
রাজ্য সরকারের হাতে ক্ষমতা ন্যাস্ত
কেন্দ্র সাফ জানিয়েছে, যে সামাজিক জনসমাগম বা অনুষ্ঠানে প্রচুর মানুষের ভিড় এড়াতে যেকোনও পদক্ষেপ নিতে পারে সংশ্লিষ্ট রাজ্যসরকার। এক্ষেত্রে যাঁরা অনুষ্ঠানের আয়োজক তাঁদের পরামর্শ ও সাহায্যে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। উল্লেখ্য, দেশের একাধিক জায়গায় এই কারণে বাতিল হতে শুরু করেছে বিয়ে বা অনুষ্ঠান বাড়ি ভাড়া নেওয়ার প্রক্রিয়া। যার জেরেএ বহুভাবে ব্যবসায়িক ক্ষতি হচ্ছে বলে খবর।