করোনার বিষাক্ত দংশনে ভারত: তবলিঘি জামাত সম্পর্কে কিছু তথ্য
করোনার বিষাক্ত দংশনে ভারত: তবলিঘি জামাত সম্পর্কে কিছু তথ্য
দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকায় রাতারাতি ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে গত পরশু থেকে। মুহূর্তে স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে এলাকা স্যানিটাইজে ব্যস্ত হয়ে যান। অসুস্থদের হাসপাতালে ভর্তি থেকে ২০০০ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। গোটা পরিস্থিতি যেখান থেকে দানা বাঁধে সেটি ছিল একটি ধর্মীয় জমায়েত। যে জমায়েত ছিলে তবলিঘি জমাতের। একনজরে দেখে নেওয়া যাক এই সংগঠন কীভাবে কাজ করে। সংগঠন সম্পর্কে কিছু তথ্য।
তবলিঘি জামাত আসলে কী?
মূলত বিভিন্ন মৌলবীদের একটি সংগঠন এই তবলিঘি জামাত। ১৯২৬ সালে মেওয়াত প্রভিন্সে মৌলনা মুহম্মদ ইলিয়াসি এই ভাবধারার প্রবর্তন করেন। সেই থেকেই এটি চলে আসছে। বিশ্বের ১৫০ টি দেশে রয়েছে এই সংগঠন। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছেন এঁর বহু সদস্য। সংগঠন জানায়, মূলত ভালোবাসার বাণী ছড়ানোই তাদের উদ্দেশ্য। তবে অনেক রিপোর্ট বলছে, ইসলামের প্রবর্তন করাও এই সংগঠনের উদ্দেশ্য।
৪০ দিনের মিশন
বিভিন্ন দেশে ৪০ দিনের কর্মসূচি নিয়ে এই জামাতের বহু অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। বহু জায়গায় ইসলামধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় স্থানে এঁরা সেমিনারের আয়োজন করে। সেভাবেই দিল্লিতে জামাতের অুষ্ঠান আয়োজিত হয়। যে অনুষ্ঠান থেকে প্রবল হারে করোনার সংক্রমণ ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে বলে খবর।
কাশ্মীরে করোনা সংক্রমণ ও জামাত!
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে , তবলিঘি জামাতের ১৩-১৫ মার্চের অনুষ্ঠানের সঙ্গে কাশ্মীরে করোনা বেড়ে চলার প্রবল যোগ রয়েছে। কারণ কাশ্মীরে ইতিমধ্যেই এক করোনা রোগী জানিয়েছেন যে তিনি জামাত থেকে ফিরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তিনি কাশ্মীরের সোপোরে একটি জমায়েতের আয়োজন করেন। এবং তাঁর দাবি,পরবর্তীকালে অসুস্থ হওয়ার আগে তিনি উপত্যকার বন্দিপোরা থেকে সাম্বা সহ বিভিন্ন অঞ্চলে যান। যার জেরে মনে করা হচ্ছে কাশ্মীরে করোনা সংক্রমণের সঙ্গে জামাতের সভার যোগ রয়েছে। আর উপত্যকায় এই সংগঠন থেকে ৮০ শতাংশ রোগ ছড়িয়েছে বলে খবর।
জার্মান গোয়েন্দাদের নজরে ছিল!
ভারতের 'মনোহর পার্রিকার ইনস্টিটিউড অফ ডিফেন্স স্টাডিস' এর একটি আর্টিক্যাল বলছে , জার্মান ইন্টালিজেন্স বহু দিন ধরে তবলিঘি জামাতের গতিবিধির ওপর নজর রেখেছিল। মার্কিন মুলুকে ৯/১১ এর ঘটনার পর থেকে জার্মানির গোয়েন্দারা এই সংগঠনের ওপর নজর রেখেছিল।
ভারতে ৮২৪ জন বিদেশী তবলিঘি সদস্য!
সর্বভারতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত এক রিপোর্ট বলছে, ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বিদেশ থেকে আসা ৮২৪ জন ছড়িয়ে রয়েছে। এঁদের খুঁজে বার করতে কড়া নির্দেশ এসেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে। যাতে দেশে করোনার সংক্রমণ আর না ছড়িয়ে পড়তে পারে, তার জন্যই এমন নির্দেশ সরকারের।
প্রতীকী ছবি