নির্বাচনী বন্ড হল মস্ত কেলেঙ্কারি! কংগ্রেসের অভিযোগে শোরগোল লোকসভায়
নির্বাচনী বন্ড হল কেলেঙ্কারি। কংগ্রেসের অভিযোগে এদিন ব্যাপক শোরগোল হয় লোকসভায়। বিষয়টিকে রাজনৈতিক ঘুষের অভিযোগ করে কংগ্রেস মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে সংসদে।
নির্বাচনী বন্ড হল মস্ত কেলেঙ্কারি। কংগ্রেসের অভিযোগে এদিন ব্যাপক শোরগোল হয় লোকসভায়। বিষয়টিকে রাজনৈতিক ঘুষের অভিযোগ করে কংগ্রেস মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে সংসদে। সংসদের বাইরেও চলে তাদের অভিযোগ প্রক্রিয়া। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আপত্তি উপেক্ষা করে সরকার এই প্রকল্প চালু করেছে বলেও অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস।
মনীশ তিওয়ারির হাতিয়ার ২০১৮-র আরটিআই
লোকসভায় কংগ্রেস সাংসদ মনীশ তিওয়ারি বলেন, তিনি নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সভার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান। নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প নির্বাচনেই সীমাবদ্ধ ছিল। তাঁর অভিযোগ ২০১৮-র এক আরটিআই থেকে জানা যাচ্ছে, মোদী সরকার নির্বাচনী বন্ড নিয়ে আরবিআইকে অমান্য করেছে। সর্বশেষ মিডিয়া রিপোর্টকে ভিত্তি করে তিনি দাবি করেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তৎকালীন গভর্নর উর্জিত প্যাটেল মোদী সরকারকে নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সতর্ক করেছিলেন।
সংবাদ মাধ্যমে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ৩ চিঠির উল্লেখ
একটি সর্বভারতী সংবাদ মাধ্যমকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ২০১৭ সালে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তৎকালীন গভর্নর উর্জিত প্যাটেল তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে তিনটি চিঠি লিখেছিলেন। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ছাড়া অন্য কেউ যাতে এই নির্বাচনী বন্ড ইস্যু না করে, তার জন্য তিনি সতর্ক করেছিলেন।
'শাসক দলকে কব্জা করছে নির্বাচনী বন্ড'
এদিন সংসদে আক্রমণে নামেন অপর কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরও। তিনি বলেন, যখন নির্বাচনী বন্ড চালু করা হয়েছিল, রাজনীতিবিদদের অনেকেই তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছিলেন। কেননা এর মাধ্যমে প্রভাবশালী ব্যক্তি কিংবা সংস্থা সহজেই শাসকদলকে কব্জা করে নিয়ে পারে।
রাজ্যসভাতেও 'নির্বাচনী বন্ড' বিতর্ক
কংগ্রেসের তরফে বুধবার বিষয়টি রাজ্যসভায় তোলা হয়েছিল। দাবি করা হয়েছিল সরকার যেন নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সংসদে তথ্য প্রকাশ করে। কেননা কংগ্রেসের অভিযোগ এই প্রকল্পের ফলে অর্থপাচার হচ্ছে এবং রাজনৈতিক দলগুলির স্বচ্ছতা নষ্ট হচ্ছে। কংগ্রেসের তরফে নির্বাচনী বন্ডকে রাজনৈতিক ঘুষের প্রকল্প বলেও অভিযোগ করা হয়। বিরোধীদের তরফে অভিযোগ করা হয় এটি এমন একটি কেলেঙ্কারি যা ভারতের গণতন্ত্রের ছবিকেই নষ্ট করে দিচ্ছে। এব্যাপারে বিরোধীদের তরফে সোজা প্রধানমন্ত্রীর অফিসের দিকে প্রশ্ন তোলা হয়। কংগ্রেস নেতা গোলাম নবি আজাদের অভিযোগ, বিজেপি সরকার কিছু শিল্পপতিকে সঙ্গে নিয়ে এর ৯০ শতাংশ ব্যবসা চালাচ্ছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আপত্তি উপেক্ষা করে সরকার এই প্রকল্প চালু করেছে বলেও অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস।