অস্ত্র তুলুন হিন্দুরা! হরিদ্বার মিটের বন্ধ দরজার ভেতরে একের পর উস্কানি মূলক মন্তব্য ধর্মীয় নেতাদের
অস্ত্র তুলুন হিন্দুরা! হরিদ্বার মিটের বন্ধ দরজার ভেতরে একের পর উস্কানি মূলক মন্তব্য ধর্মীয় নেতাদের
'হিন্দুদের হাতে অস্ত্র রাখা উচিত।' 'মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ', ধর্ম সংসদের নামে এরকম একের পর এক উস্কানি মূলক মন্তব্য করেছেন ডানপন্থী নেতারা। সেই হরিদ্বার মিটে উপস্থিত ছিলেন দিল্লি বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র অশ্বিনী উপাধ্যায়ও। ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বর আয়োজন করা হয়েছিল এই হরিদ্বার মিটের। প্রতিটি সভাই হয়েছে রুদ্ধাদ্বার। কিন্তু তার পরেই ফাঁস হয়ে গিয়েছে বন্ধ দরজার ভেতরের কীর্তি। সেখানে নরহিংসহানন্দ নামে গেরুয়া মোড়কে সংবিধানের একটি করে কপিও সকলকে দওয়া হয়েছে।
উস্কানি মূলক মন্তব্য
তিন দিন ধরে চলেছে হরিদ্বার মিট। রুদ্ধ দরজায় ধর্মের উপদেশের নামে যে কীর্তি হয়েছে তা ফাঁস হয়ে গিয়েছে। সেখানে একের পর এক গেরুয়া বসন পরা বক্তারা উস্কানিমূলক মন্তব্য করে গিয়েছেন। মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। হিন্দুদের হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়া উচিত থেকে শুরু করে ২০২৯ সালে যাতে দেশে কোনও মুসলিম প্রধানমন্ত্রী না আসেন তার জন্য সবরকমের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। একজন বক্তা বলেছেন, িতনি চান প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের উপর রিভালবারের ৬টি গুলিই চালিয়ে দিতে।
বিজেপি নেতার উপস্থিতিতেই উস্কানি
১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত বসেছিল বৈঠক। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দিল্লি বিজেপির মুখপাত্র অশ্বিনী উপাধ্যায়। যদিও তিনি দাবি করেছেন, তিনি েসখানে কয়েক মিনিটের জন্যই ছিলেন। ৩০ মিনিট সেখানে থেকে সংবিধান নিয়ে বক্তব্য রেখে বেরিয়ে এসেছিলেন বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতা। তিনি দাবি করেছেন তাঁর আগে এবং পরে নেতারা কী বলেছেন সেটা তাঁর দায় নয়। সেখানে তাঁকে নৃশংহানন্দ বলে একটি বই দেওয়া হয়েছিল। এই বইটি নিয়ে প্রবল বিতর্ক রয়েছে।
কী লেখা আছে নৃশংহানন্দ বইটিতে
এই বইটিেত লেখা রয়েছে ২০২৯ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবেন একজন মুসলিম। কারণ ভারতে মুসলিমদের জনসংখ্যা এতটাই কমে যাবে। এবং আগামী ৮ থেকে ৯ বছরে সেই সংখ্যা কমতে শুরু করবে। তখন ভারত শাসন করবে মুসলিম প্রধানমন্ত্রী। তার প্রেক্ষিতেই এই ধর্মসংসদে বলা হয়েছে হিন্দুদের অস্ত্র হাতে নেওয়ার। কিছুতেই ২০২৯ সালে ভারতে মুসলিম প্রধানমন্ত্রী হতে দেওয়া যাবে না। সেই বইয়ে আরও লেখা হয়েছে ২০ বছরে ৫০ শতাংশ হিন্দু মুসলিম ধর্মেধর্মান্তরিত হবে। এবং হিন্দুদের হত্যা করা হবে। মাত্র ১০ শতাংশ হিন্দু রয়ে যাবে ভারতে। তারা আর ভারতে থাকবে না। তারা থাকবেন ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা, লন্ডনে। আর আমেরিকায় রিফিউজি হয়ে থাকবেন তাঁরা।
ইদ-ক্রিসমাদ উদযাপন নিয়ে বার্তা
সম্ভাবী ধামের আনন্দ স্বরূপ মহারাজ রীতিমতে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন হরিদ্বারের কোনও হোটেলে বা বাড়িতে কেউ ইদ বা ক্রিসমাস উদযাপন করলে তার উপর হামলা করা হোক। কারণ হরিদ্বারের মত পবিত্র ধর্মিয়স্থানে ইদ বা ক্রিসমাস উদযাপন করা একেবারেই অসাংবিধানিক। যেহোটেল মালিকরা ইদ এবং ক্রিসমাস উদযাপন করছেন তাঁরা নিজেদের সম্পত্তি রক্ষা করুন বার্তা দিয়েছেন তিনি।