কেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করছেন, কারণ ব্যাখ্যা মমতার
প্রশাসনিক প্রধান হিসাবে রাজ্যের দাবি-দাওয়া নিয়ে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের কাছে আর্জি জানাতে গিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রশাসনিক প্রধান হিসাবে রাজ্যের দাবি-দাওয়া নিয়ে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের কাছে আর্জি জানাতে গিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা ভোটের আগে থেকেই সারা দেশে মোদী বিরোধিতায় তিনি ছিলেন এক নম্বরে। এমনকী ফেডেরাল ফ্রন্ট ক্ষমতায় এলে তাঁকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভাবা হচ্ছিল। তবে বিরোধীদের জব্দ করে ফের একবার ক্ষমতায় ফিরে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন মোদী।
তারপরও সম্পর্কের শৈত্য কাটেনি। মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী কেন্দ্রের বিভিন্ন মন্ত্রকের বৈঠকে অনুপস্থিত থেকেছেন। তবে শেষ অবধি আর উপায় না দেখে রাজ্যের খাতিরে মোদীর সঙ্গে দেখা করতে হয়েছে মমতাকে। তিনি অবশ্য দলনেত্রী হিসেবে দেখা করেননি। দেখা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে। সেকথা তিনি আগেই জানিয়েছেন।
মমতা বলেছেন, তিনি একটি সাংবিধানিক পদে রয়েছেন। নরেন্দ্র মোদীও রয়েছেন একটি সাংবিধানিক পদে। ফলে রাজ্যের প্রয়োজনে এই কাজটি তাঁকে করতে হয়েছে। ঠিক একইভাবে উপায় না থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর পর তিনি দেখা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। যাঁকে নানা সময়ে আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে মমতাকে।
[ সাভারকর প্রধানমন্ত্রী হলে পাকিস্তান নামক দেশ তৈরি হতো না, বিস্ফোরক দাবি উদ্ধব ঠাকরের]
এই প্রসঙ্গে বিরোধীরা কটাক্ষ করলেও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এটা তাঁর 'কনস্টিটিউশনাল অব্লিগেশন' অর্থাৎ সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। তিনি তৃণমূল সুপ্রিমো হিসেবে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে নাই চাইতে পারেন, তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যেকোনও কাজে তাঁকে দেখা করতে হতেই পারে। ফলে উপায় না থাকলেও তাঁকে এই কাজটি করতে হয়েছে বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
[জোটে চাই ৫০ শতাংশ আসন! মহারাষ্ট্র নিয়ে নতুন ভাবনা শিবসেনার]