কংগ্রেস সাংসদ কেসি রামমূর্তির পদত্যাগে স্নায়ুর চাপ বাড়ল কংগ্রেসের
লোকসভা ভোটে এক প্রকার কোণঠাসা হওয়ার পর আসন্ন দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে রাহুল গান্ধী যখন তাঁর দলের ঘাঁটি শক্ত করার চেষ্টা করছেন, ঠিক সেই মুহূর্তেই ফের ধাক্কা জাতীয় কংগ্রেসে।
লোকসভা ভোটে এক প্রকার কোণঠাসা হওয়ার পর আসন্ন দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে রাহুল গান্ধী যখন তাঁর দলের ঘাঁটি শক্ত করার চেষ্টা করছেন, ঠিক সেই মুহূর্তেই ফের ধাক্কা জাতীয় কংগ্রেসে। রাজ্যসভার সাংসদ তথা কর্ণাটকের বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা কে সি রামমূর্তি রাজ্যসভা থেকে নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পদত্যাগ করায় আরও দুর্বল হলো কংগ্রেস। আজ তিনি রাজ্যসভা থেকে পদত্যাগের পাশাপাশি দলীয় সদস্যপদও ত্যাগ করেছেন। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এম. ভেনকাইয়া নাইডু এদিন তাঁর পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেছেন বলে খবর।
রাজ্যসভা থেকে তাঁর এই পদত্যাগের পরে রাজ্যসভায় কংগ্রেসের বর্তমান সাংসদ কমে দাঁড়ালো ৪৫। গত তিন মাসের মধ্যে কংগ্রেস নেতা ভুবনেশ্বর কাটিলা ও আসাম থেকে প্রতিনিধিত্ব করা কংগ্রেস সাংসদ সঞ্জয় সিংকেও দল ছাড়তে দেখা গেছে। আসান্ন মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটের মুখেই রাজ্যসভা থেকে রামমূর্তির এই পদত্যাগ কংগ্রেসের যে স্নায়ুর চাপ বাডা়বে বলেই মনে করছে ধারণা রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
পদত্যাগ এবং কংগ্রেস ছাড়ার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমকে রামমূর্তি বলেন, কংগ্রেসের মধ্যে ঘটে চলা বিভিন্ন সমস্যা প্রসঙ্গে তিনি এর আগেও কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী এবং আরও উচ্চ নেতৃত্বকে অবগত করেছিলেন বহুবার। তিনি আরও বলেন, তিনি দলের অভ্যন্তরীণ কিছু পরিবর্তনের ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন। কিন্তু গত এক বছরে বিশেষ কিছু পরিবর্তন না হওয়ায় তিনি দলের নেতৃত্বের উপর আশাহত হয়েছেন। সেই হতাশা থেকে তিনি কংগ্রেস ও রাজ্যসভা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ প্রসঙ্গে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান , তিনি এর আগেও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ছাড়াও বিজেপির আরও অন্যান্য উচ্চ স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দলত্যাগের বিষয়ে কথা বলেছেন। তবে বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গে এখনো কিছু ভাবেননি বলেও জানান তিনি। কিন্তু তিনি দেশের জন্য ও দেশের প্রভূত উন্নতির স্বার্থে কাজ করতে চান। বিজেপি যদি আগ্রহী হয়, তাঁর দক্ষতা কাজে লাগাতে পারেন। তবে তিনি তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ আগামী দুদিনের মধ্যে জানাবেন বলে জানিয়েছেন।অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত কংগ্রেস ও জনতা দলের ১৫ জন বিধায়ক বিজেপিতে যাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই পদ্ম শিবিরের হাত আরও শক্ত হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।