Sidhu Surrender: এক বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ! আত্মসমর্পণ করলেন সিধু
সমস্যা বাড়ছে কংগ্রেস নেতা নভজিত সিং সিধু'র। কয়েক বছর আগের একটি মামলায় এক বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত নির্দেশে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, অবিলম্বে সিধুকে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
Navjot Singh Sidhu surrenders: সমস্যা বাড়ছে কংগ্রেস নেতা নভজিত সিং সিধু'র। কয়েক বছর আগের একটি মামলায় এক বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত নির্দেশে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, অবিলম্বে সিধুকে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
আর এরপরেই আজ শুক্রবার পার্টিয়ালা আদালতে সেরেন্ডার করতে যান কংগ্রেসের এই হেভিওয়েটের নেতা। যা পঞ্জাব কংগ্রেসের কাছে বড়সড় ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছে।
1988 road rage case | Punjab: Congress leader Navjot Singh Sidhu leaves for Sessions Court, from his residence in Patiala. pic.twitter.com/u9B0g87n5C
— ANI (@ANI) May 20, 2022
৩৪ বছরের পুরানো মামলা
বলে রাখা প্রয়োজন, সুপ্রিম কোর্ট সিধু'কে এই রোড রেজের ঘটনায় এক বছরের জন্যে জেলের সাজা শুনিয়েছে। এই রোডরেজের- ঘটনায় ৩৪ বছর আগে একজনের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছিল। যদিও এর আগে সিধু আদালতের কাছে এই মামলায় বেশ কিছুটা সময় চেয়ে নেন। স্বাস্থ্যের কথা দেখিয়ে এহেন আবেদন জানানো হয়। তবে এবার আর সেই রক্ষা হল না বলেই মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ। তবে এই ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে সিধু।
টুইট করেছিলেন সিধু
সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পরেই টুইট করেন কংগ্রেস নেতা সিধু। এই বিষয়ে হিন্দিতে লেখেন, আইনের কাছে শিরধার্জ ( 'कानून की महानता के आगे नतमस्तक हूं...') বুধবারই সুপ্রিম কোর্ট ক্রিকেটার থেকে রাজনৈতিক নেতা হয়ে ওঠা এক বছরের পুরানো একটি মামলায় জেলের নির্দেশ জানায়। যদিও বিধানসভা নির্বাচনের পর অনেকটাই বদলে গিয়েছে রাজনৈতিক অবস্থা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি থেকে ইতিমধ্যে ইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন সিধু।
তীব্র বিরোধিতা করেন উকিল
আদালতের কাছে সিধু সারেন্ডার করার জন্যে সময় চাওয়ার তীব্র বিরোধিতা করেন উকিল। বলেন, ৩৪ বছরের মানে এটা নয় যে অপরাধ মরে গিয়েছে। এখন চূড়ান্ত নির্দেশ শোনানো হয়েছে। আবার তিন-চার সপ্তাহ সময় কেন চাওয়া তা নিয়ে প্রশ্ন আইনজীবীর। বলে রাখা প্রয়োজন, গত ২৭ ডিসেম্বর ১৯৮৮ সালে পার্কিং নিয়ে সিধুর সঙ্গে পাটিয়ালার বাসিন্দা গুরনাম সিংয়ের সঙ্গে ব্যাপক বচসা হয়। আর এই বচসা পরে মারাত্মক আকার নেয় এবং গাড়িতে চাপা দিতে মারা হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। কিন্তু প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস হয়ে যান। কিন্তু আইনি জটিলতা জারি থাকে। আর তাতেই সম্প্রতি এহেন নির্দেশ।
আইনি লড়াই দীর্ঘদিন জারি ছিল
বলে রাখা প্রয়োজন, ২০১৮ সালের মে মাসে, বিচারপতি জে চেলামেশ্বর (অবসরপ্রাপ্ত) এবং বিচারপতি এসকে কৌলের সমন্বয়ে গঠিত একটি ডিভিশন বেঞ্চ বলেছিল যে সিধুর অপরাধ ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩০৪ পার্ট দুই এর অধীনে শাস্তিযোগ্য "খুনের পরিমাণ নয়" অপরাধযোগ্য অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে না। পরিবর্তে আইপিসি ধারা ৩২৩ এর অধীনে "স্বেচ্ছায় আঘাত করা" এর অপরাধে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। তবে আইনি লড়াই দীর্ঘদিন জারি ছিল।