গলে যাচ্ছে হিমালয়ের বরফ, শুকিয়ে যাবে গঙ্গার জল, ভয়ঙ্কর দুর্যোগে মুখে সভ্যতা
এই শতাব্দীর শেষের আগেই হিমালয়ের হিন্দুকুশ অঞ্চলের বরফের এক তৃতীয়াংশ গলে যাবে।
এই শতাব্দীর শেষের আগেই হিমালয়ের হিন্দুকুশ অঞ্চলের বরফের এক তৃতীয়াংশ গলে যাবে। গ্রিন হাউস গ্যাসকে কাবু করার চেষ্টা হোক অথবা বিশ্ব উষ্ণায়নকে জব্দ করার চেষ্টা হোক, এই ধাক্কাকে সামলানো সহজ হবে না। এমনটাই উঠে আসছে নতুন গবেষণায়। ১৯৭০ সালের পর থেকেই এই বরফ গলতে শুরু করেছে। এবং গত কয়েক দশকে তা আরও বেড়েছে। এই পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে থামবে তা নিয়ে সকলে আশঙ্কায় ভুগছেন।
দুর্যোগ আট দেশে
গবেষণা বলছে, বাড়তে থাকা উষ্ণতার ফলে ভারত, চিন, মায়ানমার, নেপাল, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও ভূটানে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে। কারণ হিন্দুকুশ অঞ্চলকে ঘিরে রয়েছে এই দেশগুলি।
গলে যাবে হিমবাহ
এই অঞ্চলের হিমবাহ থেকে গলে নামা জল পাঁচটি নদী অববাহিকায় ছড়িয়ে পড়ে। এই জল ১৯০ কোটি মানুষকে বাঁচিয়ে রেখেছে। যে জনসংখ্যা পৃথিবীর এক চতুর্থাংশ।
তৃতীয় মেরু অঞ্চল
সুমেরু ও কুমেরুর পর হিমালয়কে তৃতীয় মেরু অঞ্চল হিসাবে ধরে নেওয়া হয়। সেই হিমালয়ের বরফই যদি এভাবে গলে যায় তাহলে সভ্যতা যে ধ্বংসের পথে এগোবে তা বলাই বাহুল্য।
গলছে বরফ
যে হারে বরফ গলছে তাতে এই শতাব্দীর মধ্যেই এক তৃতীয়াংশ বরফ অবশ্যই গলে যাবে। উষ্ণায়নের মাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে বাড়লে অর্ধেক বরফ গলতে পারে। আর যদি তার বেশি বাড়ে তাহলে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি বরফ গলে যাবে বলে বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন।
হতে পারে ব্যাপক ক্ষতি
১৯৭০ সালের পর থেকেই এই বরফ গলতে শুরু করেছে। এবং গত কয়েক দশকে তা আরও বেড়েছে। এই অঞ্চলের ৭০ শতাংশ মানুষ কৃষিজীবী। ফলে চাষবাসেও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
বড় প্রভাব নদীতে
তাপমাত্রা বাড়ায় ফসল চাষে তার প্রভাব পড়ছে। কখনও খরা তো কখনও বন্যা হচ্ছে। গঙ্গা, ইয়াংজে, মেকং, সিন্ধু নদীর ওপরে এর দারুণ প্রভাব পড়তে চলেছে।