করোনার শেষের শুরু! জানুন টিকাকরণ প্রক্রিয়ার বিশদ তথ্য ও যাবতীয় বিধিনিষেধ
শনিবার সারা দেশে করোনার টিকাকরণের কাজ করা হবে৷ প্রায় ৩ লক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীর কোরোনার টিকা নেবেন৷ আপাতত কোভ্যাকসিন ও কোভিশিল্ড-কে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ সেই মতো ১.৬৫ কোটি ভ্যাকসিন প্রথম দফার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ এই দফায় স্বাস্থ্য কর্মী ও প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা টিকা পাবেন৷ এর পর কো-মর্বিডিটি আছে এমন পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তিরা টিকা পাবেন৷
স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে কথা বলবেন মোদী
সরকারি একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে ওই দিন প্রধানমন্ত্রী দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে কথা বলবেন৷ তাঁদের সঙ্গেই কথা বলবেন, যাঁরা ওইদিন করোনার টিকা নেবেন৷ এর জন্য দেশের কিছু ভ্যাকসিনেশন সেন্টারকে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ এই তালিকায় রয়েছে নয়াদিল্লির এইমস ও সফদরজং হাসপাতাল৷ সেখানকার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে তাদের তরফে সমস্ত ব্যবস্থা করে রাখা হচ্ছে৷
প্রত্যেক রাজ্যকে রুলবুক পাঠাল কেন্দ্র
এদিকে এই ভ্যাকসিন ব্যবহারের নিয়মাবলী জানিয়ে প্রত্যেক রাজ্যকে রুলবুক পাঠাল কেন্দ্র৷ ১৮ বছরের বেশি বয়সের ব্যক্তিদের কোরোনা টিকা দেওয়া হবে৷ অন্তঃসত্ত্বা মহিলা, কিংবা যেসব মহিলা তাঁদের গর্ভাবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত নন এবং সন্তানকে দুগ্ধদানকারী মায়েদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া নিষেধ৷
করোনা টিকা কাদের জন্য?
করোনা টিকা কাদের জন্য? কাদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া নিষেধ? টিকাকরণ নিয়ে বিধি ও নিষেধ অর্থাৎ কী করা উচিত আর কী উচিত নয় সে বিষয়ে রাজ্যগুলিকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে৷ শনিবার সারা দেশে ৩,০০৬ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রায় ৩ লক্ষ স্বাস্থ্যসেবা কর্মীকে প্রথমে কোরোনা টিকা দেওয়া হবে৷
কাদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া নিষেধ?
টিকাকরণের নিয়মাবলীতে একমাত্র ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের টিকা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে৷ অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের টিকাকরণের বাইরে রাখা হচ্ছে৷ এমনকি যেসব মহিলা নিজেদের গর্ভাবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত নন এবং সন্তানকে দুগ্ধদানকারী মায়েদেরও এই ভ্যাকসিন দেওয়া নিষেধ৷
যাদের প্লাজমা থেরাপি হয়েছে, তাঁদের করোনা টিকা দেওয়া নিষেধ
যে সংস্থার ভ্যাকসিনের টিকা নেওয়া হবে, সেই ভ্যাকসিনের পুরো ডোজ সেটাই নিতে হবে। বিভিন্ন টিকার ডোজ মিলিয়ে মিশিয়ে নেওয়া যাবে না৷ সিরামের কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন উভয়ের ক্ষেত্রে ২৮ দিনের ব্যবধানে দুটি ডোজ শেষ করতে হবে৷ বর্তমানে যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বা করোনা আক্রান্ত বলে সন্দেহ আছে, যাদের প্লাজমা থেরাপি হয়েছে, তাঁদের করোনা টিকা দেওয়া নিষেধ করা হয়েছে৷
সুস্থ হয়ে ওঠার কতদিন পর টিকা নেওয়া যাবে?
করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার কম করে চার থেকে আট সপ্তাহ পরে তাঁদের টিকা দেওয়া যেতে পারে। যাঁরা করোনা থেকে অনেকদিন আগেই সুস্থ হয়ে জীবন যাপন করছেন, তাঁরা কোরোনা ভ্যাকসিন নিতে পারেন৷ যাঁদের শরীরে এক বা একাধিক কোমর্বিডিটি আছে তাঁরা করোনা টিকা নিতে পারেন। সারা দেশে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনা টিকা দেওয়া হবে৷ তারপর ৫০ ঊর্ধ্ব ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া হবে৷
করোনা টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক নয়
করোনা টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক নয়৷ তবে করোনা টিকা নিতে চাইলে সবাইকে স্বাস্থ্যমন্ত্রকে নিজের নামধাম নথিভুক্ত করা বাধ্যতামূলক। নাম নথিভুক্ত হওয়ার পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে টিকা দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করা হবে৷ নাম নথিভুক্ত করতে পরিচয়পত্র থাকা বাধ্যতামূলক৷ আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, মনরেগা, স্বাস্থ্য কার্ড প্রভৃতি কোনও একটি দিয়ে অনলাইনে নিজের নাম নথিভুক্ত করতে হবে৷