দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২১ হাজার, তবুও কিসের ভিত্তিতে ফ্ল্যাট লাইন আশা কেন্দ্রের?
করোনা সংকটে জেরবার দেশ। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১,৭০০। মৃত্যু হয়েছে ৬৮৫জনের। মুম্বই, দিল্লি, কলকাতা, ইন্দোর-সহ একাধিক শহরের করোনা পরিস্থিতি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। তবুও করোনা নিয়ে আশার বাণী শোনাচ্ছে কেন্দ্র।
লকডাউনের ফল
একটানা ৩০ দিন ধরে করোনা রোধে লকডাউন চলছে দেশে। এতে কতটা লাভবান হয়েছে দেশ? সরকারি তথ্য থেকে সংক্রমণ দ্বিগুণ হওয়ার হারও লক্ষ করা যাচ্ছে। সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, দেশব্যাপী লকডাউনের আগে যেখানে ৩.৪ দিনে সংক্রমণ দ্বিগুণ হচ্ছিল, সেখানে এখন লাগছে ৭.৫ দিন।
করোনা মুক্ত ৭৮টি জেলা
আরও একটি সুখবর শুনিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তারা জানাচ্ছে ২৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৭৮টি জেলায় গত ১৪ দিন কোনও সংক্রমণ ধরা পড়েনি। এর মধ্যে ১২টি জেলা এমনও রয়েছে যেখানে গত ২৮ দিন কোনও সংক্রমণের ঘটনা নজরে আসেনি।
সুস্থতার হার বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি
নিয়মিত পরিস্থিতি সম্পর্কে জানানোর সময় সরকারের তরফে জানানো হয়, সুস্থতার হারও বেড়েছে ১৯.৮৯ শতাংশ। গত সপ্তাহেই এই হার ছিল ৯.৯৯ শতাংশ। এর মধ্যেই তা এতটা বেড়ে গিয়েছে। দেশে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪ হাজারের বেশি মানুষ।
নমুনা পরীক্ষা বেড়েছে বহুগুণ
আইসিএমআর-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২২ মার্চ পর্যন্ত ১৬,১০৯ জনের শরীরে পরীক্ষা করে ৩৪১ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ মিলেছিল। সংক্রমণের হার ছিল ২.১১ শতাংশ। সেই পরীক্ষার সংখ্যা বেড়ে এরই মধ্যে ৫ লক্ষ অতিক্রান্ত করেছে। এবং কেন্দ্রের তরফে আশা করা হচ্ছে এই হারে পরীক্ষা চালিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে এই সংক্রমণ।