করোনার অজুহাতে লুকোচ্ছে কেন্দ্র! জিএসটি ঘাটতি চলছে এক বছর ধরেই
করোনা আবহে ধাক্কা খেয়েছে জিএসটি আদায়। চলতি আর্থিক বছরে জিএসটি আদায় ২ লক্ষ ৩৫ হাজার কোটি টাকা কম হবে, এমনটাই জানিয়েছে জিএসটি কাউন্সিল। যদিও কেন্দ্র এই ঘাটতির পিছনে করোনাকে দায়ী করেছে। তবে সত্যিটা হল, এক বছর আগে থেকেই রাজ্যগুলোকে জিএসটি ক্ষতিপূরণ দিতে পারছিল না কেন্দ্র।
কয়েক বছর ধরেই অর্থিক মন্দা চলছে দেশজুড়ে
গত তিন বছর ধরেই অর্থিক মন্দা চলছে দেশজুড়ে। গত অগাস্ট থেকে জিএসটি আদায়ে তার প্রভাব পড়ে। ২০১৯ সালের এপ্রিল-জুনে যেখানে জিএসটি আদায়ের পরিমান ছিল ৫.৫ শতাংশ, সেখানে জুলাই-সেপ্টেম্বরে তা কমে দাঁড়ায় ৪.৪ শতাংশে। অক্টোবর-ডিসেম্বরে তা আরও কমে হয় ৪.১ শতাংশ। জানুয়ারি-মার্চ ২০২০-তে এই হার ছিল ৩.১ শতাংশ।
গত বছরের অগাস্ট থেকে জিএসটি আদায় কম
গত বছরের অগাস্ট থেকে জিএসটি আদায়ে কম হলেও নভেম্বরে তা বৃদ্ধি পয়েছিল। রাজ্যগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিতে সমস্যা হবে, এই কথা গত সেপ্টেম্বরেই গোয়ায় জিএসটি কাউন্সিলের ৩৭ তম বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকার প্রথম স্বীকার করেছিল। সেস থেকে কম আদায়ের কারণেই এই পরিস্থিতি বলে জানানো হয়।
ক্ষতিপূরণ বাবদ কত টাকা দিয়েছে কেন্দ্র
সবমিলিয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩৬,৪০০ কোটি টাকা দিয়েছিল কেন্দ্র। জুলাইতে মার্চের বাকি থাকা ১৩,৮০৬ কোটি রাজ্যগুলোকে দেওয়া হয়। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের জিএসটি বাবদ রাজ্যগুলোকে কেন্দ্র মোট ১.৬৫ লক্ষ কোটি টাকা দেয়।
কী বলছে জিএসটি আইন?
জিএসটি আইন অনুযায়ী, ২০১৭ সালের জুলাই থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর পর্যন্ত রাজ্যগুলির যে পরিমাণ কর আদায় হবে, তার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা কেন্দ্রের। সিগারেট, অটোমাবাইল, কয়লা, বিলাসবহুল পণ্য ইত্যাদির উপর যে সেস চাপানো হয়, সেই আয়ের তহবিল থেকেই সেই ক্ষতিপূরণ মেটানো হয়। কিন্তু সেই তহবিলের অবস্থা শোচনীয়। ফলে রাজ্যগুলোকে টাকা দিতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানান সীতারমন।
আরও ৫০ বছর বিরোধী আসনে বসবে কংগ্রেস, গান্ধী বিরোধিতার সুর চড়াচ্ছেন সিব্বল-আজাদ!