মাথাপিছু জিডিপি নিয়ে তরজা জারি! কেন্দ্রের পাল্টা জবাব রাহুল গান্ধী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে
বুধবারই প্রকাশ হয় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের 'ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক' রিপোর্ট। সেই রিপোর্টেই মাথাপিছু জিডিপির পূর্বাভাসের নিরিখে বলা হয় যে ভারত প্রতিবাশী বাংলাদেশেরও নিচের ধাপে চলে যাবে চলতি অর্থবছরে। এবং এরপরই এই রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এবং সেই প্রেক্ষিতে এবার রাহুলকে পাল্টা জবাব দিল কেন্দ্র।
বাংলাদেশের থেকে ১১ গুণ ভারতের জিডিপি
এদিন সরকারের তরফে দাবি করা হয় যে ভারতের জিডিপি বাংলাদেশ থেকে ১১ গুণ বড়। তাছাড়া মোদী সরকারের আমলে মাথা পিছু জিডিপি বেড়েছে অনেকটাই। ২০১৪ সালে ইউপিএ জমানায় দেশের মাথাপিছু জিডিপি ছিল ৮৩,০৯১ টাকা। সেই পরিমাণ ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে বেড়ে দাঁড়ায় ১,০৮,৬২০।
২০২১ সালে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হবে ৮.৮ শতাংশ
অবশ্য রিপোর্টে এও বলা হয়েছে যে এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি ভারত দ্রুতই ফিরবে উন্নয়নের পথে। আইএমএফ জানাচ্ছে, ২০২১ সালে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হবে ৮.৮ শতাংশ। এর ফলে ফের বিশ্বের সব থেকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলা উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে ভারত। এই একই সময় চিনের ৮.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হারকে ছাড়িয়ে যাবে ভারত। এদিকে চলতি বছরে বিশ্ব অর্থনীতি ৪.৪ শতাংশ হারে সঙ্কুচিত হবে বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টে।
আইএমএফ-এর রিপোর্টে যা বলা হয়েছে
আইএমএফ-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, যে চলতি অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি ১০.৩ শতাংশ সঙ্কুচিত হবে। এর জেরে দেশের অর্থনীতির উপর বিশাল প্রভাব পড়তে চলেছে। 'ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক' রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতের মাথাপিছু জিডিপি নেমে দাঁড়াবে ১৮৭৭ ডলারে। এদিকে এই সময়ে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি হবে ১৮৮৮ ডলারে।
কেন্দ্রকে খোঁচা অভিষেকের
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও কেন্দ্রকে তোপ দেগেছিলেন এই রিপোর্ট পেশের পরই। এই বিষয়ে অভিষেক টুইট করে লিখেছিলেন, 'বাংলাদেশ ভারতকে ছাপিয়ে যাবে তাদের উন্নয়নের জন্যে নয়। বরং এটি হবে কারণ ভারত পিছিয়ে পড়ছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে না।'
কেরলের সোনা পাচার মামলায় দাউদ যোগ, আরও অস্বস্তিতে বিজয়নের বাম সরকার