সারদা-কাণ্ডে এ বার সিবিআই তলব মুকুলকে, থরহরি কম্প তৃণমূলে
কলকাতা, ১২ জানুয়ারি: সারদা-কাণ্ডে এ বার মুকুল রায়কে ডেকে পাঠাল সিবিআই। চিঠি দিয়ে তাঁকে যত শীঘ্র সম্ভব হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। সোমবার গোয়েন্দারা এই চিঠি পাঠান তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদক মুকুলবাবুকে।
আরও
পড়ুন:
সারদা-কাণ্ডে
গ্রেফতার
পরিবহণ
মন্ত্রী
মদন
মিত্র
আরও
পড়ুন:
এর
পর
দুই
'ম'
জেলে
যাবে,
মদনের
গ্রেফতারির
পর
বলছে
বিরোধীরা
আরও
পড়ুন:
সিবিআই
বিজেপির
'ফ্রন্টাল
অর্গানাইজেশন',
মুকুলকে
নোটিশে
খাপ্পা
তৃণমূল
সারদা-কাণ্ডে তদন্ত যত এগিয়েছে, ততই নাম জড়িয়েছে মুকুল রায়ের। তিনি সুদীপ্ত সেনকে নানা সময় ব্ল্যাকমেল করে যেমন টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ, তেমনই বিনিময়ে বিভিন্ন সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন। জেলবন্দি তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ এর আগে দাবি করেছেন, মুকুল রায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করলে অনেক কিছু জানা যাবে।
এদিকে, এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনীতিক মহলে। কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান বলেন, "আমরা অবাক নই। আমরা আগেই বলেছিলাম, এর সঙ্গে শাসক দলের যোগ আছে। তারা এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত। সিবিআই তদন্তের দাবিতে মামলা চলার সময় বিচারপতিরা আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছিলেন। মুকুলবাবুকে ডাকার পর প্রমাণিত হল, আমাদের বক্তব্য সঠিক। তৃণমূলের আরও অনেকে গ্রেফতারের অপেক্ষায়। তাই সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে এত বিষোদগার। কান টানা হয়েছে, এ বার মাথা কবে আসবে অপেক্ষা করছি। সাধারণ মানুষ, যাঁদের টাকা মার গিয়েছে, তাঁরা অন্তত শান্তি পাবেন।"
বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা বলেন, "যে পাঁচজনের নাম মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, তাদের তিনজন জেলে। একজন ডাক পেল। বাকি রইল একজন।" প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলীয় সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, "কুণাল চোর? টুম্পাই চোর? মদন চোর? মুকুল চোর? আমি চোর? আর তোমরা সব সাধু?" সেই সূত্র ধরেই বিরোধীরা বারবার বিঁধেছে মমতাকে।
প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ সুজন চক্রবর্তী বলেন "মুকুল রায় সবটা জানেন। ওঁকে অনেক আগেই ডাকার কথা ছিল। কোথায় সুদীপ্ত সেন, কখন সুদীপ্ত সেন, কী করবেন সুদীপ্ত সেন, সবই ঠিক করতেন মুকুল রায়। দলনেত্রীর আশীর্বাদ ছিল ওঁর মাথায়। তাই এ সব করতে পেরেছেন। তা হলে কে প্রতারণা করল সাধারণ মানুষকে? চিটফান্ড মালিকরা নাকি তৃণমূল কংগ্রেস? সুদীপ্ত সেনের থেকে বড় খেলোয়াড় মুকুল রায়।"
আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "মুকুল রায়কে গ্রেফতার করে হেফাজতে নেওয়া উচিত সিবিআইয়ের। নইলে তদন্ত সম্পূর্ণ হবে না। কারণ উনি অর্থ তছরুপের নায়ক।"
এদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে এর জেরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে বলে খবর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল নেতা বলেন, "যা শুরু হয়েছে, এ বার দেখছি দিদিকেও ডেকে পাঠাবে। মানুষের কাছে আর আমাদের মুখ দেখানোর জায়গা নেই।"