নেপাল ইস্যুতে কেন্দ্রকে খোঁচা বিজেপি সাংসদের! বিদেশনীতি সংশোধনের প্রস্তাব স্বামীর
নেপাল ইস্যুতে কেন্দ্রকে খোঁচা বিজেপি সাংসদের! বিদেশনীতি সংশোধনের প্রস্তাব স্বামীর
প্রতিবেশী দেশ নেপাল দেশের সংসদে সংবিধান সংশোধন করে দেশের নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছে। যেখানে কালাপানি, লিপুলেখ এবং লিম্পিয়াধুরা- যা ভারতের অংশ তা সেদেশের অংশ বলে দেখানো হয়েছে। এই নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই ভারত এবং নেপালের মধ্যে কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব চলছে। নেপালের পদক্ষেপের পিছনে আর এক প্রতিবেশী চিনের মদত রয়েছে বলেও অনেকে মনে করছেন। এরকম প্রেক্ষিতে দু'দেশের সম্পর্ক নিয়ে টানাপোড়েন চলছে।
স্বামীর অভিমত
এই প্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী মনে করছেন, ভারতের বিদেশ নীতিতে সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে। স্বামী জানতে চেয়েছেন কী কারণে নেপাল এভাবে ভারতের অংশ নিজেদের বলে দাবি করছে? এটা ভারতের ব্যর্থতা কিনা সেই বিতর্ক উস্কে দিয়েছে এই বিজেপি সাংসদ।
নেপাল-ভারত দ্বন্দ্ব
ভারত এবং নেপালের মধ্যে এই তিনটি এলাকা নিয়ে যে দ্বন্দ্ব চলছে তাতে চিন এবং পাকিস্তানের মতো দেশগুলি যে মজা দেখছে তা নিঃসন্দেহে বলে দেওয়া যায়। নেপাল দাবি করেছে ১৮১৬ সালের চুক্তি অনুযায়ী এই নতুন ম্যাপ আনা হয়েছে। সেই চুক্তিটি তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার এবং নেপালের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
নেপালে সংশোধনী পাশ
গত শনিবার নেপালের সংসদের নিম্নকক্ষে সংবিধান সংশোধনী আনা হয়। নেপালের ২৭৫ জন সাংসদের মধ্যে ২৫৮ জন সংসদে উপস্থিত ছিলেন। এবং প্রত্যেকেই এই সংশোধনীতে সম্মতি জানিয়েছেন। যে সংশোধনী আনা হয়েছে তাতে গুঞ্জি, কুটি ও নবী নামে যে গ্রামগুলো রয়েছে সেগুলি ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের অংশ। অথচ মানচিত্রে সেগুলিকেও নিজেদের এলাকা বলে দাবি করেছে চিন।
ভারতের প্রতিক্রিয়া
ভারতের তরফে নেপালের মানচিত্র সংশোধিত হওয়ার পরই বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব স্পষ্ট জানিয়ে দেন, নেপালি সংসদে যে মানচিত্র সংশোধনী পাস হয়েছে তা সঠিক নয়। কৃত্রিমভাবে কেউ নিজেদের এলাকা বাড়িয়ে নেওয়ার দাবি করলে তা মানা সম্ভব নয় বলেও ভারতের তরফে জানানো হয়েছে। এই অবস্থায় সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর পোস্ট নতুন করে জল্পনা উসকে দিল বলে মনে করা হচ্ছে।
এক ধমকে সোজা পাকিস্তান! আটক দুই ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীকে নিয়ে কী করতে চলেছে আইএসআই