বরফ গলাতে উদ্ধবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন গড়কড়ির, বৈঠকের শর্ত জানিয়ে দিল শিবসেনা
সময়সীমা শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত। এর মধ্যে সমাধান সূত্র না বের করতে পারলে মহারাষ্ট্রে জারি হতে পারে রাষ্ট্রপতি শাসন।
সময়সীমা শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত। এর মধ্যে সমাধান সূত্র না বের করতে পারলে মহারাষ্ট্রে জারি হতে পারে রাষ্ট্রপতি শাসন। এরকম অবস্থায় রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটাতে ময়দানে নামলেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী তথা আরএসএস ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত নীতিন গড়কড়ি। সূত্রের খবর, আজ বিকেল নাগাদ সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তিনি। সম্ভাব্য এই বৈঠকের বিষয়ে সেনা শিবিরকে প্রশ্ন করা হলে তারা জানান, একমাত্র শর্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বিজেপি-কে। আড়াই বছর মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়া আর কোনও কিছু নিয়ে আলোচনা হবে না। এদিকে গড়কড়ির সঙ্গে সাক্ষাতের আগে সেনা প্রধান উদ্ধাব শিবসেনার জেলা প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন।
আগেও গড়কড়ির হস্তক্ষেপ চেয়েছিল সেনা
এর আগে শিবসেনার তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, তারা চান নীতিন গড়কড়ি ঝামেলা মেটানোর জন্য এগিয়ে আসুক। কেননা দুই দলই চায় দ্রুত নতুন সরকার গঠন করতে৷ কিন্তু অনড় অবস্থানে সরকার গঠন থমকে রয়েছে। তাই শিবসেনা এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তির জন্য কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চায়। শিবসেনা বলে সরকার গঠন না হয়ে যদি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয় তা মহারাষ্ট্রের জনগণের জন্য লজ্জাজনক হবে।
চিঠি দেওয়া হয়েছিল আরএসএস প্রধানকেও
শিবসেনার তরফে কিশোর তিওয়ারি বলেন, "ইতিমধ্যেই আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ভাগবৎ উদ্যোগ নিয়ে নীতিন গড়করিকে এই দুই দলের মধ্যে সমঝোতা করানোর জন্য মহারাষ্ট্রে পাঠান। তিনি মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি সামলাতে পারবেন।"
অস্বস্তিতে শিবসেনা
এদিকে সরকার গঠন না হলে ফের নির্বাচনে যেতে হবে। এই পরিস্থিতিতে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করলেও অস্বস্তিতে রয়েছে সেনা। সূত্রের খবর সেনার শীর্ষ নেতারা মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবিতে অনড় থাকলেও দলের প্রায় ২৫ জন বিধায়ক বর্তমান অচলাবস্থা কাটিয়ে বিজেপির সঙ্গে দ্রুত সরকার গঠনের বিষয়ে আগ্রহী। এদিকে বিজেপিও জানিয়ে দিয়েছে যে সেনার সঙ্গে বৈঠকে বসতে তারা প্রস্তুত তবে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়া যে কোনও বিষয়ে আলোচনা করবে তারা। বিজেপির সাফ বক্তব্য, আগামী পাঁচ বছর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হবে তাদেরই দলের।
শরদ পাওয়ার পিছু হটায় বিপাকে সেনা শিবির
এদিকে বুধবার শিবসেনার সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা সপাটে খারিজ করেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার। এই বিষয়ে শরদ পাওয়ার বলেন, সেনা-বিজেপির ২৫ বছরের শরিকি সম্পর্ক। সেটা হঠাৎ করে ভেঙে যাওয়া সম্ভব নয় বলে মত প্রকাশ করেন পাওয়ার। সেই ক্ষেত্রে সেনার সঙ্গে জোট গঠন করলে তা এনসিপির জন্য অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে বলে সেই জোট থেকে সরে আসেন শরদ পাওয়ার।
সরকার গঠনের আজই শেষ দিন
৯ নভেম্বরের মধ্যে মহারাষ্ট্রে কোনও রাজনৈতিক দল সরকার গঠনের দাবি না জানালে রাজ্যপাল নিজে আলোচনায় বসবেন বলে জানিয়েছেন। কারণ এদিনই শেষ হয়ে যাচ্ছে মহারাষ্ট্রের বিধানসভার কার্যকালের মেয়াদ। কাজেই মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে চরম উত্তেজনা পূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়ে রয়েছে। বিজেপি উপর ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছে শিবসেনা। এদিকে শিবসেনার অন্দরেই ভাঙন তৈরি করছে বিজেপি। সূত্রের খবর শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানের জন্য ইতিমধ্যেই বিজেপি ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম বুক করে ফেলেছে।
ভারত ধ্বংস করতে চেয়েছিল কর্তারপুর সাহিব, পাক সরকারের অপপ্রচারের ব্যানার পড়ল গুরুদ্বারে
অযোধ্যা মামলার রায়দানের পর কী ভাবে হবে উৎসব? নির্দেশিকা জারি আরএসএস ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের