মুকুল-ফ্যাক্টর! পিকের টিমকে আটকে কি তৃণমূলের বিস্তার রোধ করতে পারবে বিজেপি
মুকুল-ফ্যাক্টর! পিকের টিমকে আটকে কি তৃণমূলের বিস্তার রোধ করতে পারবে বিজেপি
মিশন ত্রিপুরায় ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের টিমকে নামানোর পরিকল্পনা নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলা জয়ের পর ত্রিপুরা দখল করতে মরিয়া তৃণমূলকে আটকাতে প্রশাসনকে ব্যবহার করল বিপ্লব দেব সরকার। কিন্ত এই পথে কি তৃণমূলের বিস্তার রোধ করতে পারবেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী তথা ত্রিপুরা বিজেপির মুখ বিপ্লব দেব?
মুকল রায়কে ফিরে পেয়ে তৃণমূল প্রথম টার্গেট ত্রিপুরা
একুশে বাংলা জয়ের পর তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিবেশী রাজ্য ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করেছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ভিনরাজ্যে সাম্রাজ্য বিস্তারের কথা ভোট-পর্বেই জানিয়েছিলেন। আর ভোট শেষে তৃণমূলের মহাবিজয়ের পর মুকল রায়কে ফিরে পেয়ে তৃণমূল প্রথম টার্গেট করে ত্রিপুরাকেই। কারণ মুকুল রায়ের হাত ধরে ত্রিপুরায় তৃণমূলের সংগঠন অনেকদূর প্রসারিত হয়েছিল।
ত্রি-মূর্তি একজোট হলে মমতার দল এগিয়ে ত্রিপুরায়
মুকুল রায় ফিরে আসায় তাঁর অনুগামীদেরও ত্রিপুরায় তৃণমূলে ঘরওয়াপসি হবে। মুকুল রায়কে পাশে নিয়েই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই কাজ সামলাতে পারবেন। তারপর প্রশান্ত কিশোরের মতো মস্তিষ্ক তাঁদের সঙ্গে রয়েছ। ত্রি-মূর্তি একজোট হলে মমতার দল যে ত্রিপুরায় ক্ষমতালাভের দিকে অনেকাংশে এগিয়ে যাবে, তা বলাই যায়।
আই প্যাককে আটকে তৃণমূলের বিস্তার ঠেকাতে পারবে না বিজেপি
সেই পরিকল্পনা মতোই প্রশান্ত কিশোরের টিমকে ত্রিপুরায় পাঠানোর পরিকল্পনা করে তৃণমূল। আইপ্যাকের টিম ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় পা রাখতেই বিজেপির সরকার তাদের আটকাতে বদ্ধপরিকর হয়ে ওঠে। আইপ্যাকের ২৩ জনকে আটকে রেখে জেরা করা হয়। তৃণমূল নেতৃত্ব, এরপর প্রশ্ন তোলে আই প্যাককে এভাবে আটকে তৃণমূলের বিস্তার ঠেকাতে পারবে না বিজেপি।
মুকুল তৃণমূলে যোগ দিতেই ত্রিপুরা বিজেপিতে ফাটল তীব্র হয়েছে
মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতেই ত্রিপুরা বিজেপিতে ফাটল তীব্র হয়েছে। শীর্ষসারির অনেক নেতা যেমন তৃণমূলে পা বাড়িয়ে রয়েছেন, নিচুতলাতেও ভাঙন চলছে ধারাবাহিকভাবে। ইতিমধ্যে ১৫ হাজার কর্মী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আরও অনেক নেতা-কর্মীর যোগদান চলছে প্রতিদিনই।
মুকুল রায়ের গেমপ্ল্যান আটকাতে পারবে কি বিজেপি
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বিজেপি প্রশাসন দিয়ে প্রশান্ত কিশোরের টিমকে আটকালেও মুকুল রায়ের গেমপ্ল্যান আটকাতে পারবে না। মুকুল রায় বাংলায় বসেই বিজেপির সংগঠনে রোলার চালিয়ে দিতে পারেন। কেননা মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ সুদীপ রায়বর্মনের সঙ্গে বর্তমানে বিজেপির দূরত্ব তৈরি হয়েই আছে। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন বিজেপির প্রায় অর্ধেক বিধায়ক। তাই বিজেপিতে ভাঙন আটকানো মুশকিলই হবে বিপ্লব দেবের।
বিজেপিতে বিপ্লব দেবের সমকক্ষ হয়ে উঠেছেন সুদীপ
মুকুল রায় সুদীপ রায়বর্মনের নেতৃত্বই তৃণমূল গড়ার কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ত্রিপুরায়। তারপর মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর ত্রিপুরার সুদীপ রায়বর্মনের নেতৃত্বাধীন তৃণমূলও বিজেপিতে যোগ দেন। এখন বিজেপিতে বিপ্লব দেবের সমকক্ষ হয়ে উঠেছেন সুদীপ রাযবর্মন। তাই বিজেপিতে আড়াআড়ি বিভাজনেকর সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে।