২০২৪-এর সেমিফাইনালের আগে বিজেপি নতুন করে সাজবে! বাংলাতেও নজর কেন্দ্রের
বছর ঘুরলেই ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে মহাসংগ্রাম। তার আগে এবার একাধিক রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে রাজ্যগুলির ভোটকে মহাযুদ্ধের সেমিফাইনাল হিসেবে ধরা হচ্ছে।
বছর ঘুরলেই ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে মহাসংগ্রাম। তার আগে এবার একাধিক রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে রাজ্যগুলির ভোটকে মহাযুদ্ধের সেমিফাইনাল হিসেবে ধরা হচ্ছে। আর তার আগে বিজেপি রাজ্যওয়াড়ি নির্বাচনগুলিতে ফায়দা তুলতে পরিকল্পনা শুরু করেছে।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদলের পরিকল্পনা করেছে বিজেপি। বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। সৈই বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদলের তালিকা চূড়ান্ত হতে পারে। বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে সরিয়ে সংগঠনের কাজে লাগানো হতে পারে। তাদের জায়গায় আসতে পারে নতুন মুখ।
বিশেষ করে কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়ের বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ঢেলে সাজাতে চাইছে বিজেপি। বাংলা নিয়েও এ ব্যাপারে ভাবনা রয়েছে বিজেপির। এই মুহূর্তে বাংলা থেকে কেন্দ্রের মন্ত্রী রয়েছে চার জন। এখন তাঁদের স্থলাভিষিক্ত কেউ হন কি না, তা-ই দেখার।
গতবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা রদবদল নিয়ে ব্যাপক জলঘোলা হয়েছিল বাংলায়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরে বাবুল সুপ্রিয়, দেবশ্রী চৌধুরীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আনা হয়েছিল নিশীথ প্রামাণিক, জন বার্লা, সুভাষ সরকার ও শান্তনু ঠাকুরকে। দুই প্রতিমন্ত্রীর বদলে চারজন প্রতিমন্ত্রী পেয়েছিল বাংলা।
এখন দেখার এবার বাড়তি কোনও মন্ত্রী পায় কি না বাংলা। বাংলা থেকে কোনও পূর্ণমন্ত্রী পাওয়া যায় কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলের। এছাড়া কোনও প্রতিমন্ত্রীকে সরে যেতে হয় কি না, তা নিয়েও চর্চা চলছে। আরও চর্চা শুরু হয়েছে এই রদবদলে বাংলা থেকে নতুন মুখ হিসেবে কে আসতে পারে।
এর আগে রদবদলে নিশীথ প্রামাণিক, জন বার্লা, সুভাষ সরকার ও শান্তনু ঠাকুরদের পাশাপাশি লকেট চট্টোপাধ্যায়ও আলোচনায় ছিলেন। এছাড়া বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে মন্ত্রী করা হতে পারে বলেও জল্পনা চলছিল। কিন্তু দিলীপ ঘোষকে মন্ত্রী করা হয়নি। মন্ত্রিসভায় স্থান হয়নি লকেটেরও।
বাবুল সুপ্রিয়কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর তিনি দলই ছেড়ে দিয়েছিলেন। দেবশ্রী চৌধুরীও গুরু্ত্ব হারিয়েছেন। এদিকে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রী না করে ভিনরাজ্যের পর্যবেক্ষক করে পাঠানো হয়েছিল। এখন তিনি খাদ্য ও গণবণ্টনমন্ত্রকের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান। স্থায়ী কমিচির চেয়ারম্যানদের সাধারণভাবে মন্ত্রী করা হয় না।
এখন দেখার বাংলা থেকে এবার দিলীপ ঘোষের শিকে ছেঁড়ে কি না। বর্তমানে তিনি বিদেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি। আক্ষরিক অর্থেই এই পদের কোনও গুরুত্ব নেই। আর দিলীপ ঘোষকে মন্ত্রী করে ফের আদি বিজেপিকে বাংলায় সক্রিয় করা যায় কি না, তা ভেবে দেখতে পারে বিজেপি। কেননা বাংলায় আদি-নব্য দ্বন্দ্বের অবসান হয়নি। বিজেপির কামব্যাকে এই দ্বন্দ্ব মেটানো জরুরি।