যোগীরাজ্যে প্রথম দফা ভোটের আগেই আরও পাঁচ ভার্চুয়াল সভা মোদীর
যোগীরাজ্যে প্রথম দফা ভোটের আগেই আরও পাঁচ ভার্চুয়াল সভা মোদীর
উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। পাঁচবছরের যোগী শাসনের শেষে ফের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা শাসকদল নির্বাচন করবেন মানুষ৷ যথারীতি প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলই উঠেপড়ে লেগেছে, পুরোদমে চলছে প্রচার। ব্যতিক্রম নয় বিজেপিও। এতদিন ধরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ-রা প্রচার করছিলেনই৷ এবার পুরোদমে প্রচারে নেমে পড়ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে যতই আধুনিক ভারতীয় রাজনীতির চাণক্য বলা হোক। যতই উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে যোগী আদিত্যনাথের জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া হোক। প্রচারের ক্ষেত্রে এখনও বিজেপির প্রধান ঘুঁটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই। সেই তিনিই আরও ১৬ টি মিছিল করতে চলেছেন উত্তরপ্রদেশে৷ জানা গিয়েছে, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আরও ৫-৬ টি র্যালি করবেন প্রধানমন্ত্রী।
বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ মনে করে, উত্তরপ্রদেশ ধরে রাখতে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে বিজেপিকে। বিশেষত পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা মোটেই সন্তুষ্ট নন সরকারের ভূমিকায়। কাজেই সেখানে ভাল ফল করাটা গেরুয়া শিবিরের কাছে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং। আর এই কারণেই প্রথম-দ্বিতীয় দফার আসনগুলিতে প্রচারে প্রধানমন্ত্রীকে আনতে চাইছে তারা। ৪ ফেব্রুয়ারিতে মেরঠ, গাজিয়াবাদ, আলিগড় কেন্দ্রের কথা মাথায় রেখে একটি ভার্চুয়াল র্যালিতে অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে মোদীর। বিজেপি সূত্রে খবর, আগামী ৬ ফেব্রুয়ারিতে আরও একটি ভার্চুয়াল র্যালির বন্দোবস্ত করছে বিজেপি।
গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, ৪ ফেব্রুয়ারির র্যালিতে মোট ১৯ টি আসনের কথা মাথায় রাখা হবে। বিজেপির মোট ১০০ টি মণ্ডল এই র্যালি প্রচারের দায়িত্বে থাকবে। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন এলইডি স্ক্রিনের সামনে জমায়েতের ক্ষেত্রে বেশ কিছুটা ছাড় দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, ৫০০ নয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১০০০ জন জমায়েত করতে পারবেন। বিজেপির আশা, সবমিলিয়ে ১ লক্ষেরও বেশি মানুষ দেখবেন প্রধানমন্ত্রীর মিছিল, বক্তব্য।