ভারতে করোনা-মুক্তির নয়া আশা বিসিজি ভ্যাকসিন! কী বলছে গবেষণা
ভারতে করোনা-মুক্তির নয়া আশা বিসিজি ভ্যাকসিন! কী বলছে গবেষণা
বিশ্বের তাবড় শক্তিধর দেশগুলি করোনার প্রকোপের শুরুর সময়কাল থেকেই ভারতের সংস্কৃতির 'নমস্কার'কে বেছে নিয়েছিল করোনা-মুক্তির পন্থা হিসাবে। এরপর বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর দেশ আমেরিকা ভারতের কাছ থেকে ম্য়ালেরিয়ার প্রতিষেধক ওষুধ চেয়েছে করোনার হাত থেকে পরিত্রাণে। এবার উঠে আসছে ভারতের বিসিজি ভ্যাকসিনের প্রসঙ্গ। যা করোনা মোকাবিলায় বড় সাহায্য হতে পারে বলে খবর।
কীসের হদিশ লাগাচ্ছেন বৈজ্ঞানিকরা?
গবেষকদের দাবি, এখনও পর্যন্ত দেখা গিয়েছে টিবির প্রতিষেধক বিসিজি ভ্যাকসিন যাঁদের দেওয়া হয়েছে তাঁদের কোভিড ১৯ এর হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সহজেই সম্ভব হয়েছে। আর তার জেরে গবেষকরা দেখার চেষ্টা করছেন যে, বিসিজি ভ্যাকসিনে সত্যিই কি মানুষের সমস্ত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় কি না!
টিবির ভ্যাকসিন ও ভারত
১৯২০ সালে টিবির প্রতিষেধক ভ্যাকসিন আসে বাজারে। এরপর দেখা গিয়েছিল ভারতে সবচেয়ে বেশি টিবি বা যক্ষা রোগী রয়েছেন। এরপরই ২৯৪৮ সালে ভারতে যক্ষা প্রতিষেধক বিসিজি ভ্যাকসিন চালু হয়। ভারতে শিশু জন্মালেই তা দেওয়ার রীতি রয়েছে। আর এই ভ্যাকসিনই করোমার হাত থেকে মুক্তি দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
কোন বৈশিষ্ট লক্ষ্য করা গিয়েছে?
বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, য়ে সমস্ত দেশে বিসিজি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে সেখানের করোনা আক্রমণের হার আর যে সমস্ত দেশে দেওয়া হয়নি, সেখানের হার-এর মধ্যে প্রচুর পার্থক্য রয়েছে। যে দেশে এই টিকাকরণ বাধ্যতামূলক হিসাবে চালু রয়েছে সেখানে করোনার আক্রমণ ১০ গুণ কম বলে আপাতত গবেষণায় দেখা গিয়েছে। তবে এখনও বহু স্তরের গবেষণা বাকি।