‘আমাকে ফাঁসি দিলেও এই লড়াই থামবে না’, ইডি অফিস বেরিয়েই ৩৭০ ধারা বাতিল প্রসঙ্গে ফের সরব ফারুখ
‘আমাকে ফাঁসি দিলেও এই লড়াই থামবে না’, ইডি অফিস বেরিয়েই ৩৭০ ধারা বাতিল প্রসঙ্গে ফের সরব ফারুখ
৩৭০ ধারা বাতিলের পর দীর্ঘ প্রায় এক বছরের বন্দিদশা কাটিয়ে কিছুদিন আগেই মুক্ত হয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের ন্যাশান্যাল কনফারেন্সের সভাপতি তা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ। মুক্তি পেয়েছেন মেহবুবা মুফতি, সাজাজ লোনের মতো কাশ্মীর একাধিক প্রথমসারির নেতৃত্বরাও। এদিকে ছাড়া পাওয়ার পরেই ইডির নিশানায় পড়েন ফারুক আবদুল্লা এবার সেই প্রসঙ্গেই ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তিনি।
৩৭০ ধারা বিলোপ প্রসঙ্গে ফের সরব ফারুখ
এদিকে জম্মু ও কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের তহবিল তছরুপের অভিযোগে সোমবার ফারুক আবদুল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের আধিকারিকেরা। যদিও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই কেন্দ্র ইডিকে ঢাল করছে বলে মত বিরোধীদের। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এদিন ফের ৩৭০ ধারা বিলোপ প্রসঙ্গে সরব হন জম্মু-কাশ্মীরের এই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
ইডি অফিস বেরিয়েই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ ফারুখের
এদিন একটানা ৭ ঘণ্টা জেরা চলার পর ইডি অফিস থেকে বেরিয়ে ৮২ বছরের ফারুখ আবদুল্লা বলেন, " একটি জিনিস মনে রাখবেন, আমাদের অনেক দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে হবে। এটি আসলেই একটা দীর্ঘ লড়াই।" ৩৭০ ধারা বিলোপের কট্টর বিরোধীতা করে এদিন তিনি আরও বলেন, "ফারুক আবদুল্লাহ বেঁচে থাকুক বা মারা যাক, তারপরেও আমাদের সংগ্রাম চলবে। আমাদের সংকল্প বদলায়নি। আমাকে ফাঁসি দেওয়া হলেও আমাদের সংকল্প কখনওই বদলাবে না। "
৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকেই গৃহবন্দি ছিলেন উপত্যকার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী
এদিকে কেন্দ্র সরকারকে নিশানা করে ফারুখের এই জ্বালাময়ী বক্তব্য যে কাশ্মীরে গেরুয়া শিবিরকে বেশ কিছুটা চাপে ফেলবে তা বলাই বাহুল্য। এদিকে ২০১৯ সালের ৫ই অগাস্ট সংসদে বিশেষ বিল এনে তুলে দেওয়া হয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা। যার জেরে বিশেশ রাজ্যের মর্যাদা হারায় জম্মু-কাশ্মীর। উল্টে গোটা উপত্যকাকেই পৃথক দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভেঙে ফেল কেন্দ্র। আর কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের পর থেকেই ক্রমেই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠে ভূস্বর্গ। রাস্তায় নামেন লক্ষ লক্ষ মানুষ।
'পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকর ডিকলারেশন' তৈরিতেই কেন্দ্রেৎ রোষের মুখে ফারুখ ?
এমতাবস্থায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে জননিরাপত্তা আইন বলে ফারুখ-মেহবুবা-সাজাদ সহ একাধিক নেতা-নেত্রীদের গৃহবন্দি করা হয়। অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের তোপের মুখে পড়ে এক এক করে প্রায় এক বছর পর ছাড়া হয় তাদের। এরপরেই ন্যাশনাল কনফারেন্স-পিডিপি জোট বদ্ধ হয়ে কাশ্মীরের হৃত অধিকার ফিরিয়ে আনতে জোটবদ্ধ হয়। তৈরি হয় 'পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকর ডিকলারেশন'। ৩৭০ ধারা বিলোপ প্রসঙ্গে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রামের ডাক দেন মেহবুবা-সাজাদেরাও।
শুভেন্দু জল্পনা বাড়িয়েই চলছেন, একুশের আগে এ কীসের ইঙ্গিত 'নন্দীগ্রামের মুক্তিসূর্যে’র