বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার 'আবদার' জানিয়ে দলনেত্রীকে চিঠি লিখলেন আরাবুল
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে আরাবুল ইসলাম জানিয়েছেন, "দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি লিখেছি। সেই চিঠির একটি কপি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দিয়েছি। আমার ব্যবহারের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেই এই চিঠি। দলের নেতৃত্বের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিল, যদি দয়া করে তাঁরা আমার নিষ্কাশন প্রত্যাহার করেন।"
উল্লেখ্য, আরাবুলের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত ছিল না। কখনও কলেজের শিক্ষিকাকে জলের জগ ছুড়ে মারা, কখনও তোলা না পেয়ে মারধর ইত্যাদি অভিযোগে বারবার কাঠগড়ায় উঠেছেন তিনি। ভাইফোঁটার দিন ভাঙড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে খুনোখুনির ঘটনা ঘটায় ফের বিতর্কে জড়ান আরাবুল ইসলাম। ক্রমাগত অস্বস্তি বাড়তে থাকায় গত ২৮ অক্টোবর তথা মঙ্গলবার তাঁকে ঝেড়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। ছ'বছরের জন্য তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : 'কাঁটা' উপড়ে ফেলল তৃণমূল, দল থেকে বহিষ্কৃত আরাবুল ইসলাম
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভাঙড়ে ইতিমধ্যে গোপন মিছিল শুরু হয়েছে। গ্রামবাসীরদের একাংশ এবং স্থানীয় দলীয় সমর্থক ও কর্মীরা "আরাবুলকে মাফ করো" স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে ভাঙড়ের বিভিন্ন অংশে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
অন্যাদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ তথা সদ্য বৃহত্তর দায়িত্ব কাঁধে নেওয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঙ্কার দলের মধ্যে কর্মীদের কোনও রকমের বিশৃঙ্খলা-অরাজকতা সহ্য করা হবে না। তিনি বলেন, যে বা যারা দলের আভ্যন্তরীন শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবে এবং দলের নাম ডোবাবে তাদের বিরদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে আরাবুলের চিঠি যদি গ্রহণ করে আরাবুলের শাস্তি মুকুব করা হয় তাহলে একাধিক প্রশ্ন উঠতে পারে, যা অবশ্যম্ভাবী ভাবেই তৃণমূলের বিপক্ষে যাবে। আরাবুলকে দল থেকে ৬ বছরের জন্য বহিষ্কার করার পর সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর অভিযোগ ছিল গোটা ব্যাপারটা লোকদেখানো। মুখরক্ষা করতে এ সব করা হচ্ছে। এখন দি আরাবুলকে ক্ষমা করে দেওয়া হয় তাহলে বিরোধীদের কথাতেই শিলমোহর পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।