টাটা স্টিল প্ল্যান্টে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ , আহত ৩
শনিবার টাটা স্টিল প্ল্যান্টে গ্যাস পাইপলাইনে বিস্ফোরণে তিনজন আহত হলেন। কোম্পানির এক কর্মকর্তা এমনটাই জানিয়েছেন। বিস্ফোরণটি সকাল ১০.২০ মিনিটের দিকে ঘটে এবং আহত কর্মচারীদের টাটা মেইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
একটি বিবৃতি দিয়ে তিনি বলেন যে , "আমরা জানাতে চাই যে আজ, সকাল ১০.২০ মিনিট নাগাদ , জামশেদপুর ওয়ার্কসে কোক প্ল্যান্টের ব্যাটারি ৬-এ বিস্ফোরণের শব্দ হয়েছিল। বর্তমানে, ব্যাটারি ৬ অকার্যকর এবং এটি ভেঙে ফেলার প্রক্রিয়া চলছে," বলেছেন ইস্পাত প্রস্তুতকারক।
"জামশেদপুরে কোম্পানির প্ল্যান্টের ভিতরে অকার্যকর ব্যাটারি 6-এ ফাউল গ্যাস পাইপলাইনে বিস্ফোরণে তিনজন কর্মচারী আহত হয়েছে," কর্মকর্তা বলেছেন। বিস্ফোরণে কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হাতাহাতিতে মাটিতে পড়ে একজন কর্মী সামান্য আহত হয়েছেন, তিনি যোগ করেছেন। দুর্ঘটনার কথা টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও।
শনিবার ভোররাতে ইন্দোরের স্বর্ণ বাগ কলোনিতে একটি দ্বিতল বিল্ডিংয়ে ব্যাপক অগ্নিকাণ্ডের পর সাতজন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ইন্দোরের পুলিশ কমিশনার হরিনারায়ণ চারি মিশ্র জানিয়েছেন, প্রাথমিক তথ্য অনুসারে বাড়ির ভিতরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ইন্দোরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের আত্মীয়স্বজনদের জন্য প্রত্যেককে ৪ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান টুইট করে লিখেছেন, 'ইন্দোরের স্বর্ণবাগ কলোনিতে শর্ট সার্কিটের কারণে দুর্ঘটনায় বহু মূল্যবান প্রাণের অকাল মৃত্যুর দুঃখজনক খবর পেয়েছি। আমি বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং পরিবারের সদস্যদের এই গভীর শোক সইবার শক্তি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা দান করার জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি। ইন্দোরে অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর খবর অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। আমি এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। গাফিলতি পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
পুলিশ কমিশনার বলেন, "সাতজন মারা গেছেন এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত কর্মকর্তারা এখন পর্যন্ত নয়জনকে উদ্ধার করেছেন।" দমকল বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, "শর্ট সার্কিটের কারণে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের তিন ঘণ্টা সময় লেগেছে।" আরও তদন্ত চলছে।
মৃতদের নাম ঈশ্বর সিং সিসোদিয়া, নীতু সিসোদিয়া, আশিস, গৌরব ও আকাংশা, মৃত দুইজনের নাম জানা যায়নি। আহতদের নাম হল ফিরোজ, মুনিরা, বিশাল প্রজাপতি, আরশাত ও সোনালী পাওয়ার, যারা এমওয়াই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ভবনের সকল বাসিন্দাই ভাড়াটিয়া ছিলেন।

খবরে বলা হয়েছে, রাতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছিল, কিন্তু বিদ্যুৎ আসার পর পার্কিং মিটারে আগুন ধরে যায়। মৃতদের মধ্যে একজন দম্পতিও রয়েছে, যাদের তিন দিন আগে এখানে স্থানান্তর করা হয়েছিল। এই দম্পতির বাড়িটি পাড়ায়ই তৈরি হচ্ছিল, তাই তারা এখানে ভাড়া নিয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শী এহসান প্যাটেল জানান, রাত ৩টের দিকে আমরা শব্দ শুনতে পাই। বাইরে গিয়ে দেখি আগুন লেগেছে। আমরা বালতি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছি। আমার ভাই এই বিল্ডিংয়ে থাকেন। এ ছাড়া কিছু শিক্ষার্থী ও অন্যান্য পরিবারও সেখানে বসবাস করে। অগ্নিকাণ্ডে সাতজনের মৃত্যুর পর ভবনটি সিল করে দেওয়া হয়েছে।