লাদাখ সংঘাতের মাঝেই অরুণাচল থেকে ৫ জনের উধাও হওয়ার নেপথ্যে চিন! কোমর কষে নয়া পদক্ষেপ ভারতের
অরুণাচল প্রদেশের অত্যন্ত প্রত্যন্ত গ্রামে পুলিশের এক বিশেষ টিমকে পাঠিয়েছে রাজ্য পুলিশ। শোনা যাচ্ছে, সীমান্ত থেকে ৫ জনের অপহরণ নিয়ে তাঁরা তদন্ত করছেন। আর এই তদন্ত ঘিরেই এবার পারদ চড়তে শুরু করেছে।
অরুণাচল সীমান্তে কী ঘটেছে?
অরুণাচল প্রদেশের সুবানসিরি জেলার এক প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ৫ জনকে চিন অপহরণ করেছে বলে সন্দেহ। এলাকার তাঙ্গিন সম্প্রদায়ের সদস্য তাঁরা। জানা যাচ্ছে ওই জেলার চিন সংলগ্ন সীমান্তের কাছে এক ঘন জঙ্গলের ভিতর থেকে চিনের সেনা তাঁদের অপহরণ করেছে।
কীভাবে খবর সামনে এসেছে?
অরুণাচলের ওই ৫ বাসিন্দার আত্মীয়রা এই সম্পর্কে বহু তথ্য় জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি অনুযায়ী সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ভাইরাল হতে শুরু করে। তখনই নড়চড়ে বসে অরুণাচল পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত। অরুণাচল পুলিশের হেডকোয়ার্টর পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সাড়া পড়ে গিয়েছে। তারপরই নাচো পুলিশ স্টেশন থেকে একটি স্পেশ্যাল টিম ঘটনাস্থলে যায়।
চিনের ছোবল থেকে ২ জন পতালক!
জানা যাচ্ছে, ওই ৫ জনের সঙ্গে আরও ২জনকে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছিল চিনের লালফৌজ। এরই মাঝে সেই ২ জন ব্যক্তি পালিয়ে যায় বলে খবর। এদিকে, অরুণাচল প্রদেশ থেকে চিনের সেনার অপহরণের ঘটনা প্রথম নয় বলে জদাবি বিজেপি সাংসদ তাপির গাওয়ের। মার্চ মাসেও সেখানে একই ঘটনা ঘটে গিয়েছিল বলে জানান তিনি।
সোচ্চার কংগ্রেস
চিনা সেনাকে উপযুক্ত উত্তর দেওয়ার দাবি তুলেছে কংগ্রেস বিধায়ক। কয়েক মাস আগে রাজ্যে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, ১৯ মার্চ ২১ বছরের এক যুবককে আপার সিবনসিড়ি জেলার ম্যাকমোহন লাইন থেকে অপহরণ করেছিল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি।
বিজেপি নেতার বার্তা
বিজেপির সাংসদ তথা অরুণাচল প্রদেশের নেতা তাপির গাও এর আগে বহুবার দাবি করেছেন, রাজ্যের গ্রামগুলি দিয়ে চিনের সেনা ঢোকার চেষ্টা করছে। এখনও সেই চেষ্টা বর্তমান বলে দাবি করছেন তিনি।