কংগ্রেসের দিনভরের নাটকীয়তার পর শত্রুঘ্ন সিনহা কী বলে বসলেন! ফের জল্পনা শুরু
গান্ধী পরিবারই কি নেতৃত্বে থাকবে, নাকি দেশের সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দলের রাশ থাকবে অ-গান্ধী কোনও ব্যক্তিত্বের হাতে? এই প্রশ্ন ঘিরে এদিন সিডাব্লিউসির বৈঠকে তুমুল চাপানোতর চলে। কংগ্রেসের সংঘাতের অন্যতম কেন্দ্রীয় চরিত্র হয়ে ওঠেন গুলাম নবি আজাদ। আর দিনভরের চাপানোতরের পর শত্রুঘ্ন সিনহা এবার বক্তব্য রাখতে শুরু করলেন।
শত্রু-বাণ!
দলের নেতৃত্ব নিয়ে যখন কংগ্রেসের অন্দরে ফাটল অব্যাহত তখন দলে সদ্য যোগ দেওয়া সদস্য শত্রুঘ্ন সিনহা দাবি করেন যে কংগ্রেস এমনই একটি দল, যেখানে কেউ মন খুলে কথা বলতে গেলেই সমস্যা হচ্ছে। তিনি বলেন, 'কংগ্রেসে অনেক সময় মনে হচ্ছে , মানুষ নিজের কথা বলার জায়গা পাচ্ছে না।'
২ বছরও হয়নি...
উল্লেখ্য
শত্রুঘ্ন
সিনহা
কংগ্রেসে
যোগ
দিয়েছেন
২
বছরও
হয়নি।
তারই
মধ্যে
,
তাঁর
এমন
বক্তব্যে
তোলপাড়
কিছুটা
হলেও
শুরু
হয়েছে।
যদিও
বিজেপি
নিয়ে
কথা
বলতে
গিয়ে
তিনি
বলেন,
বিজেপির
জন্য
খারাপ
লাগে।
যাঁরা
পার্টিটা
গড়েছেন
,তাঁরাই
আজ
সাইডলাইনে।
সিনহা
বলেন
,
বিজেপি
মূলত
,
'ওয়া
ন
ম্যান
শো,
টু
ম্যান
আর্মি।'
কংগ্রেসের ঘরে আজ কী ঘটেছে ?
সূত্রের খবর, আজ বৈঠকের শুরুতেই তাঁর পরিবর্ত খুঁজতে ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যদের বলেন সনিয়া গান্ধী। কিন্তু, তাঁরই এই পদে থাকা উচিত বলে পরামর্শ দেন মনমোহন সিং। পদ না ছাড়ার জন্য আবেদন করেন এ কে অ্যান্টনিও। অন্তর্বর্তী সভানেত্রীর পদে থাকতে চান না বলে আগেই জানিয়েছিলেন। আর আজ কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের শুরুতেই তিনি ফের এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর।
শেষমেশ যা ঘটল
দিনভর দীর্ঘ নাটকের পর শেষ হল কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। এবং বৈঠক শেষে সেই গান্ধী পরিবারের হাতেই থাকল কংগ্রেসের চাবিকাঠি। অন্তরবর্তিকালীন সভানেত্রী হিসাবে রয়ে গেলেন সনিয়া গান্ধী। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বৈঠক শেষ হতেই কংগ্রেসের তরফে এই ঘোষণাই করা হল।