শিশুর প্রাণ বাঁচাতে এই রাজ্যের অ্যাম্বুল্যান্স চালকের এমনই দুঃসাহসিক চেষ্টা
অসুস্থ একমাসের শিশু ফতিমার প্রাণ বাঁচাতে,অ্যাম্বুল্যান্স চালক থামিম ৫১৬ কিমি রাস্তা ১৪ ঘণ্টার বদলে গেলেন অর্ধেক সময়ে। ঘটনাটি ঘটেছে কেরলে।তবে পুরো যাত্রা পথে অ্যাম্বুল্যান্সের সামনে ছিল পুলিশের গাড়ি
অসুস্থ একমাসের শিশু ফতিমার প্রাণ বাঁচাতে, অ্যাম্বুল্যান্স চালক থামিম ৫১৬ কিমি রাস্তা ১৪ ঘণ্টার বদলে পারি দিলেন অর্ধেক সময়ে। ঘটনাটি ঘটেছে কেরলে। তবে পুরো যাত্রা পথে অ্যাম্বুল্যান্সের সামনে ছিল পুলিশের কনভয়।
কন্নুর থেকে তিরুবনন্তপুরম। সাধারণত দুই শহরের মধ্যে গাড়িতে যাতায়াত করতে ১৪ ঘণ্টা সময় লাগে। কিন্তু আরোহী অসুস্থ একমাসের শিশুকে বাঁচাতে, সবার জীবনের ঝুঁকি নেয় এই সময় পেরোলেন মাত্র ৭ ঘন্টা সময়ে।
বুধবার রাতে একমাসের শিশুটি লড়ছিল জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে। চ্যালেঞ্জটা নিয়েই নিলেন অ্যাম্বুল্যান্স চালক থামিম। রাজ্যের উত্তরের শহর কন্নুর থেকে রাজধানী শহর তিরুবনন্তপুরম, ৫১৬ কিমি রাস্তা গেলেন মাত্রা ৭ ঘণ্টা সময়ে।
রাস্তায় ট্রাফিক কম থাকলেও, গুগল ম্যাপ অনুযায়ী এই রাস্তায় যেতে কমপক্ষে ১৩ ঘণ্টা সময় লাগার কথা। যাত্রার মাঝে ১৫ মিনিটের বিরতি নিয়েছিলেন চালক। অর্থাৎ পুরো ৫১৬ কিমি রাস্ত গিয়েছেন মাত্র ৬ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট সময়ে। গাড়ির গতিবেগ ঘণ্টায় ৭৬.৪ কিমি।
অ্যাম্বুল্যান্স চালক কাসারাগড়ের বাসিন্দা থামিমের ডিউটি পড়েছিল বুধবার রাতে। কন্নুরের পেরিয়ারাম মেডিক্যাল কলেজে চাকরি করে থামিম।
৩১ দিনের ফতিমা লাবিয়াকে নিয়ে কন্নুর থেকে পারি দেয় তিরুবনন্তপুরমের এসআরআই চিত্রা মিশন হাসপাতালে। জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছিল ফতিমা। শ্বাসকষ্টের সমস্যার কারণে হার্ট অপারেশনের প্রয়োজন পড়েছিল।
কন্নুরের পুলিশ প্রধান পুরো বিষয়টিতে সাহায্য করেছেন। যাতায়াতের পথে বিশেষ টিমের বন্দোবস্ত করেছিলেন তিনি। যাতে কোনওরকম ট্রাফিকে পড়তে না হয় ওই অ্যাম্বুল্যান্সটিকে। পুলিশের সঙ্গে এই কাজে হাত মিলিয়েছিল চাইল্ড প্রোটেকশন টিম কেরলের সদস্যরাও।
অ্যাম্বুল্যান্সের সঙ্গে ছিল কেরল পুলিশের দুটি এসইউভি।
Traffic Police controlling the vehicles and the crowd at a Junction in Thrissur as the Ambulance and Police Jeep passes through. pic.twitter.com/wNQzna7hdD
— Advaid (@Advaidism) November 16, 2017
বুধবার রাত ৮.২৩ মিনিটে শুরু হয় যাত্রা। মাঝে রাত এগারোটা নাগাদ কোঝিকোডের কাকাডুতে থামে তেল ভরার জন্য। বৃহস্পতিবার ভোর ৩.২৩ মিনিটে কনভয় পৌঁছে যায় তিরুবনন্তপুরমের হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসক এবং অন্য চিকিৎসা কর্মীরা আগে থেকেই হাজির ছিলেন। রেকর্ড সময়ে ফতিমাকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছনো গেলেও, এখনও শিশুটির অবস্থা সংকটজনক বলে জানা গিয়েছে।
তবে অ্যাম্বুল্যান্স চালক রাজ্য পুলিশকে ধন্যবাদ দিয়েছেন, তাঁকে রাস্তা দেখিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।