ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে 'প্রোজেক্ট' চুরির অভিযোগ! বিহার রাজনীতিতে চাঞ্চল্য
কয়েকদিন আগেই দল বিরোধী কাজ করার দায়ে জেডিউ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোরকে। এরপর জেডিইউ ও নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে প্রচারে নামেন প্রশান্ত কিশোর। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে বিহারের যুব সমাজের কাছে পৌঁছে যাওয়ার লক্ষ্যে শুরু করেন 'বাত বিহার কি' নামের প্রচার। এবার সেই 'বিহার কী বাত' এর ধারণা প্রশান্ত চুরি করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠল।
প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে ৪২০ ও ৪০৬ নম্বর ধারায় মামলা রজু
জানা গিয়েছে বিহারের মোতিহারির বাসিন্দা শাশ্বত গৌতম নামে এক যুবক অভিযোগ তুলেছেন যে কয়েকদিন আগে তিনি এই 'বিহার কী বাত'-এর ভাবনা আনেন। এদিকে ভাবনা চুরি করার দায়ে প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ও ৪০৬ নম্বর ধারায় মামলা রজু হয়েছে। শাশ্বতের অভিোগ, তাঁর 'বিহার কি বাত' থেকে চুরি করেই প্রশান্ত 'বাত বিহার কি' শুরুর করেন।
'বাত বিহার কি' প্রোজেক্টটি চুরি করার অভিযোগ
অভিযোগকারী শাশ্বত দাবি করেন, কয়েকদিন ধরেই 'বিহার কি বাত' নামক প্রোজেক্টের উপর কাজ করছিলেন তিনি। খুব শীঘ্রই সেই প্রোজেক্ট লঞ্চ করার কথাও ছিল তাঁর। এদিকে তাঁর প্রোজেক্টে কাজ করছিলেন ওসামা নামক এক যুবক। সে কয়েকদিন আগেই তাঁর সংস্থা থেকে পদত্যাগ করে। পরে 'বিহার কি বাত'-এর এই চিন্তা ধারা ওসামাই প্রশান্ত কিশোরকে জানান। শাশ্বত এই ওসামার নামেও অভিযোগ দায়ের করেছেন।
নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে 'বাত বিহার কি' শুরু করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর
এর আগে বিজেপির সঙ্গে জোট নিয়ে নীতীশ কুমারের সঙ্গে তাঁর বিরোধ তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করেন নীতীশ কুমার। এরপর সাংবাদিকদের প্রশান্ত কিশোর জানান, তিনি বিহারে ১০০ দিন ভ্রমণ করবেন। নীতীশকুমারে শাসনের ভুলভ্রান্তির কথা তিনি তুলে ধরবেন রাজ্যবাসীর সামনে। প্রশান্ত কিশোর এই প্রচার কর্মসূচির নাম দিয়েছেন, 'বাত বিহার কি'।
বিহার রাজনীতিতে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য
যাঁরা বিহারের উন্নতি চান, তাঁদের সবাইকে নিজের প্রচারে আহ্বান জানিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। উন্নয়নের নিরিখে কেন বিহার অন্য রাজ্যগুলির নিচে থাকবে, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। চিনি চান উন্নয়নের নিরিখে বিহার বর্তমানে ২২ তম স্থান থেকে ১০ নম্বরে উঠে আসুক। তবে উন্নয়নে মহারাষ্ট্র, কর্নাটকের থেকে বিহার পিছিয়ে কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এদিকে প্রশান্ত কিশোরের এই নতুন প্রচার পরিকল্পনা ও পোর্টাল চুরি করা, এমন অভিযোগ উঠতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিহার রাজনীতিতে।