মুম্বই গণধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত পাঁচজনই, সাজা কাল
মুম্বইয়ের শক্তি মিল কারখানা চত্বরে গত বছরের ২২ আগস্ট এক মহিলা সাংবাদিককে গণধর্ষণ করা হয়। ২৩ বছরের ওই যুবতী এক সহকর্মীকে নিয়ে খবর সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন পরিত্যক্ত কারখানাটিতে। চারজন মিলে তাঁকে ধর্ষণ করে। এদের মধ্যে আবার তিনজন এর আগে ৩১ জুলাই কল সেন্টারের এক মহিলা কর্মীকেও ধর্ষণ করেছিল। অর্থাৎ তিনজন দুর্বৃত্ত দু'টি ধর্ষণের ঘটনাতেই জড়িত ছিল। এই তিনজন হল কাশিম হাফিজ শেখ ওরফে কাশিম বাঙালি, সেলিম আনসারি এবং বিজয় যাদব। সাংবাদিক ধর্ষণের ঘটনায় বাকি একজন অপরাধী হল সিরাজ খান। এছাড়া এই ঘটনায় দু'জন নাবালকের নামও জড়িয়েছে। তাদের বিচার চলছে জুভেনাইল আদালতে।
অন্যদিকে, কল সেন্টারের কর্মীকে ধর্ষণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত বাকি একজন হল আশফাক শেখ। সে-ই বাকিদের ধর্ষণ করতে প্ররোচিত করেছিল।
বস্তুত কল সেন্টারে কর্মরত ওই তরুণী প্রথমে কাউকে কিছু জানায়নি। তার পর মহিলা সাংবাদিকের গণধর্ষণের ঘটনা সামতে আসতে সে-ও পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে। দু'টি মামলার এক সঙ্গে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এক বছরেরও কম সময়ে তদন্ত করে পুলিশ চার্জশিট দেওয়ায় এদের দোষী সাব্যস্ত করা সম্ভব হল। এদিন আদালতে হাজির ছিলেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী আর আর পাটিল। তিনি পুলিশের কাজে সন্তোষ ব্যক্ত করেছেন।
দিল্লির নির্ভয়া গণধর্ষণ কাণ্ডের মতো এক্ষেত্রেও ধর্ষণকারীরা চরম নৃশংসতার পরিচয় দিয়েছে। মহিলা সাংবাদিককে ধর্ষণের পর তাকে অর্ধনগ্ন, রক্তাক্ত অবস্থায় বের করে দেওয়া হয় রাস্তায়। কোনও রকমে নিকটবর্তী রেলস্টেশনে পৌঁছলে সাধারণ মানুষের সহায়তার তিনি বাড়ি পৌঁছন। সারা দেশের সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে হইচই শুরু হয়। মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখা ২৪ আগস্ট গ্রেফতার করে তাদের। জানা যায়, গণধর্ষণের ঘটনা ভিডিও আকারে তুলে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল দুর্বৃত্তদের। গণর্ধষণ ছাড়া অপ্রাকৃতিক উপায়ে যৌন সঙ্গমের অভিযোগ আনা হয়েছিল পুলিশের চার্জশিটে। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বিভিন্ন ধারায়ও মামলা রুজু করা হয়। আদালতে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির সওয়াল করেছেন সরকারি কৌঁসুলি উজ্জ্বল নিকম। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, ন্যূনতম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে দোষীদের।