শরীর খারাপে যাবেন কার কাছে? সুরক্ষার অভাবে পরপর করোনা পজিটিভ চিকিৎসকরাও
করোনা সংক্রমণ এড়াতে দেশে চলছে ২১ দিনের টানা লকডাউন। তবে এই সময়তেই মৃতের সংখ্যা বাড়ছে দেশে। পাশাপাশি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০০০ ছাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আপ্রাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে তারাও যে মুক্তি পাচ্ছেন না এই মারণ সংক্রমণ থেকে।
চিকিৎসকের শরীরে করোনা সংক্রমণ
এদিন দিল্লিতে ফের এক চিকিৎসকের শরীরে করোনা সংক্রমণ মেলে। আক্রান্ত চিকিৎসক দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের বলে জানা গিয়েছে। এই নিয়ে দিল্লিতেই ৭জন চিকিৎসকের শরীরে করোনা সংক্রমণ চিহ্নিত হল।
কী ভাবে ওই ডাক্তারের শরীরে করোনা?
কী ভাবে ওই ডাক্তারের শরীরে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঘটল, তা এখনও জানা যাচ্ছে না৷ এইমস-এর সাইকোলজি ডিপার্টমেন্টের ডাক্তার তিনি। তাঁর বয়স ৩০৷ তাঁকে নতুন প্রাইভেট ওয়ার্ডে নানা পরীক্ষার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। ওই ডাক্তারের পরিবারকেও টেস্টের জন্য কোয়ারেন্টাইন্ড করা হয়েছে।
এর আগে চিকিৎসক আক্রান্ত হওয়ায় বন্ধ হয় হাসপাতাল
এর আগে দিল্লির এক ব্যস্ততম হাসপাতালের চিকিৎসকের শরীরে করোনা সংক্রমণ মিললে বন্ধ করে দেওযা হয় সেই হাসপাতাল। সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ওই হাসপাতাল ভবনের ওপিডি, অফিস এবং ল্যাবগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং সব জায়গা বিশেষভাবে স্যানিটাইজ করা হচ্ছে।
মহল্লা ক্লিনিকগুলিতে করোনা
এর আগে দিল্লি সরকার পরিচালিত মহল্লা ক্লিনিকগুলিতে কাজ করা একজন চিকিৎসক দম্পতির শরীরেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরে জানা যায়, কিছুদিন আগে ওই মহল্লা ক্নিনিকে দেখাতে এসেছিলেন সৌদি আরব থেকে ফিরে আসা এক মহিলা। মহল্লা ক্লিনিকে ওই চিকিৎসককে দেখাতে আসা রোগীদের অনেকের শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়েছে।
ডাক্তারদের সুরক্ষার অভাব
দেশ জুড়ে ক্রমশই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। তাঁদের সেবায় নিরন্তর ব্যস্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠছে যে, চিকিৎসকদের ঠিকভাবে সুরক্ষাকিট দেওয়া হচ্ছে না। আর এর জেরে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করতে গিয়ে চিকিৎসকরা নিজেরাই ওই মারাত্মক ভাইরাসের শিকার হচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাস রোগীদের সংস্পর্শে আসায় দেশ জুড়ে প্রায় ১০০ জন চিকিৎসক করোনা সংক্রামিত হয়েছেন।