Agnipath protest: নিরাপত্তা'র মোড়কে আটটা থেকে শুরু ট্রেন পরিষেবা! রইল সময়সূচী
প্রতিবাদের আগুনে পুড়ছে দেশ। তবে সবথেকে খারাপ অবস্থা বিহারে। সেখানে বিক্ষোভের জেরে একের পর এক রেল কোচে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু বিহার নয়, একের পর এক রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভের আগুন। যদিও এই অবস্থায় কেন্দ্র কড়া হাতে
প্রতিবাদের আগুনে পুড়ছে দেশ। তবে সবথেকে খারাপ অবস্থা বিহারে। সেখানে বিক্ষোভের জেরে একের পর এক রেল কোচে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু বিহার নয়, একের পর এক রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভের আগুন। যদিও এই অবস্থায় কেন্দ্র কড়া হাতে রাশ ধরতে চেয়েছিল কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
ইতিমধ্যে অগ্নিপথ স্কিমে বেশ কিছু রদবদল আনা হয়েছে। এবার আস্তে আস্তে ছন্দে ফিরতে তৎপর হয়েছে প্রশাসন।
গত দুদিন যে বিহারে একের পর এক জলন্ত ট্রেনের ছবি দেখা গিয়েছে শনিবার থেকে সেখানে রেল চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে। শনিবার রাত আটটা থেকে বিহারে রেল পরিষেবা পুনরায় চালু করা সম্ভব হয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর। শুধুমাত্র বিহারেই গত দুদিনে ৬০টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছিল। এছাড়া বিহারের এই পরিস্থিতির জেরে একাধিক রুটের রেল পরিষেবা ব্যাপক ভাবে ব্যাহত হয়। বহু ট্রেন লাইনে ঘন্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে পড়ে।
ইস্ট সেন্ট্রাল রেলওয়ের মুখমাত্র বিরেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, বর্তমানে বিহারে যে পরিস্থিতি এরজন্যে কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে কিছু অস্থায়ী বদল আনা হয়েছে। তবে রেলের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, শনিবার রাত আটটা থেকে ফের রেল চলাচল স্বাভাবিক করা হবে।
সেই মতো শনিবার রাত আটটা থেকে রবিবার ভোর চারটে পর্যন্ত রেল চালানো হবে জানানো হয়েছে। এরপর ফের পরিষেবা চালু হবে রবিবার রাত আটটা থেকে। আর তা চলবে সোমবার রাত আটটা পর্যন্ত।
রেলের তরফে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে যাত্রীদের সুরক্ষা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। শুধু তাই নয়, রেলের সম্পত্তির বিষয়টি ভাবা হয়েছে। আর সবদিক ভেবেই আপাতত ভাগে ভাগে রেল চলাচলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে।
Over 60 trains cancelled and two terminated due to prevailing law and order problem and threat perception to railway property and passengers in Bihar: East Central Railway pic.twitter.com/JYyuGsKB89
— ANI (@ANI) June 18, 2022
সরকারের অগ্নিপথ প্রকল্পে'র জন্যে দেশজুড়ে যে ভয়ঙ্কর প্রভাব দেখা গিয়েছে এতে সবথেকে প্রভাব পড়েছে বিহারে। তথ্য বলছে, অন্তত ৬০ টী কোচ এবং ৭টি লোকোমোটিভ ইঞ্জিন একেবারে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনদিনে প্রায় ২০০ কোটি টাকা'র ক্ষতি হয়েছে বলেও রেলের তরফে জানানো হয়েছে।
গোটা বিহার জুড়ে চরম সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এমনকি যে ট্রেনগুলি চালানো হচ্ছে সেখানেও ব্যাপক নিরাপত্তা 'র ব্যবস্থা থাকছে বলে রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকটি স্টেশনেও বিপুল আরপিএফ-জিআরপি মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।