ইশরাত জাহান থেকে হায়দরাবাদ, এক নজরে দেশের ৫ বিতর্কিত এনকাউন্টার যা শিরোনামে এসেছে বারবার
কানপুরের গ্যাংস্টার বিকাশ দুবের এনকাউন্টার নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে রাজনৈতিক মহল। গ্যাংস্টার পালানোর চেষ্টা করেছিল না তাকে সাজানো এনকাউন্টারে মারা হয়েছে এই নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। ঠিক একই ভাবে দেশে আরও ৫টি এনকাউন্টার নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল। কোনগুলি ছিল জেনে নেওয়া যাক।

ইশরাত জাহান এনকাউন্টার
২০০৪ সালে মুম্বইয়ে এনকাউন্টারে মারা গিয়েছিল ১৯ বছরের তরুণী ইশরাত জাহান। গুজরাত পুলিসের সেই এনকাউন্টারে মারা গিয়েছিল আরও ৩ জন। পুলিস দাবি করেছিল ইশরাত জাহান সেসময় গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী মোদীকে হত্যার ছক কষছিল। শেষে এই এনকাউন্টার নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। যে পুলিস অফিসারের নেতৃত্বে হয়েছিল এই এনকাউন্টার তাঁকে প্রায় ১৭ বছর জেল খাটতে হয়। ২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছেন তিনি।

সোহরাবুদ্দিন এনকাউন্টার
২০০৫ সালে সোহরাবুদ্দিন শেখ এবং তাঁর স্ত্রী কৌসের বিবিকে এনকাউন্টারে হত্যা করে গুজরাত পুলিস। লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সংগঠনের মডিউলের যোগ ছিল সোহরাবুদ্দিনের। এমনই দাবি করে গুজরাত পুলিস। সিবিআই তদন্ত শুরু হয়। তাতে নাম জড়িয়ে পড়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের। যদিও প্রমাণের অভাবে তাঁকে বেকসুর খালাদ দেওয়া হয়।

লক্ষণ ভাইয়া এনকাউন্টার
২০০৬ সালে মুম্বই পুলিসের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছিল লক্ষণ ভাইয়ার। ছোটা রাজনের গ্যাংর সদস্য ছিল লক্ষণ ভাইয়া। এমনই দাবি ছিল মুম্বই পুলিসের। এই নিয়ে বম্বে হাইকোর্টে মামলা করে তার পরিবার। সিবিআই তদন্ত শুরু হয়। নবি মুম্বাই থেকে তুলে এনে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়েছিল তাকে। এই ঘটনায় ১৩ জন পুলিসকর্মীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেয় বম্বে হাইকোর্ট।

ওয়ারঙ্গল এনকাউন্টার
২০০৮ সালে ওয়ারঙ্গলে পুলিস এনকাউন্টারে মারা গিয়েছিল ৩ জন। এদের ২ জনের বিরুদ্ধে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রীদের উপর অ্যাসিড ছোড়ার অভিযোগ ছিল। পুলিসের এই এনকাউন্টারে সমর্থন জানিয়েছিল ওয়ারঙ্গলের জনতা।

হায়দরাবাদ এনকাউন্টার
২০১৯ সালে নভেম্বর মাসে হায়দরাবাদের এই এনকাউন্টার শোরগোল ফেলে দিয়েছিল গোটা দেশে। হায়দরাবাদে তরুণী পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল দেহ। এই ঘটনায় ৪ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার পুনর্নির্মাণের সময় এনকাউন্টারে মারা যায় ৪ অভিযুক্তও। পুলিসের এই এনকাউন্টারে প্রায় দেশের সিংহভাগ মানুষই সমর্থন জানিয়েছিল।