বিহারে সব খুইয়ে কংগ্রেসের আশা এখন কানহাইয়া কুমার, রাহুল গান্ধীর সঙ্গে কথা
বিহারে সব খুইয়ে কংগ্রেসের আশা এখন কানহাইয়া কুমার, রাহুল গান্ধীর সঙ্গে কথা
বিহারে
বিজেপি
বিরোধী
বড়
মুখ
কানহাইয়া
কুমারের
(kanhaiya
kumar)
রাজনৈতিক
ভবিষ্যত
নিয়ে
জল্পনা
জোরাল।
মোদী
বিরোধী
প্রচারের
মুখ
কানহাইয়া
কুমারকে
কংগ্রেসে
যোগদানের
চেষ্টা
চলছে।
আগামী
লোকসভা
নির্বাচনের
দিকে
লক্ষ্য
রেখে
তিনি
ইতিমধ্যে
বার
দু.েক
রাহুল
গান্ধীর
সঙ্গে
দেখা
করেছেন
বলে
সূত্রের
দাবি।
তবে
একথা
উল্লেখ্য
যে
কানহাইয়া
কুমার
নীতীশ
কুমারের
সঙ্গে
দেখা
করার
পরে
তিনি
জেডিইউতে
যোগ
দিতে
পারেন
বলে
জল্পনা
তৈরি
হয়েছিল।
সিপিআই নিন্দা প্রস্তাব পাশ করেছিল
হায়দরাবাদে হওয়া সিপিআই-এর বৈঠকে কানহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে নিন্দাপ্রস্তাব পাশ করানো হয়েছিল। এরপরে সিপিআই-তে তাঁর অসন্তুষ্টির আলোচনা তীব্র হয়। পরে তিনি দলীয় সদর দফতরে যাওয়াও ছেড়ে দেন। গত লোকসভা নির্বাচনে তাঁর বিপুল ব্যবধানের হারের পর থেকেই দলে তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।
নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে প্রচারে বড় মুখ
কানহাইয়া কুমারকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিপক্ষে বড় মুখ হিসেবেই দেখছে কংগ্রেস। জানা গিয়েছে, কানহাইয়াকে কংগ্রেস অন্তর্ভুক্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, জৌনপুরের প্রাক্তন বিধায়ক মহঃ নাদিম জাভেদের ওপরে। বিষয়টি নিয়ে কানহাইয়া এবং নাদিম জেভেদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে উভয়ের কেউই এব্যাপারে প্রকাশ্যে কিছু বলতে অস্বীকার করেছেন।
রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দুবার সাক্ষাত
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সাম্প্রতিক অতীতে কানহাইয়া কুমার দুবার রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছেন। দুজনের কথোপকথনের মাধ্যম হয়ে উঠেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। জানা গিয়েছে, দুজনের আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। খুব শীঘ্রই তিনি কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন বলেও সূত্রের খবর। সেক্ষেত্রে আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিহারে কংগ্রেসের মুখ হয়ে উঠতে পারেন তিনি।
কানহাইয়া কুমারকে প্রয়োজন বিহার কংগ্রেসের
বিহারে ভিত শক্ত করতে গেলে কংগ্রেসেরও প্রয়োজন কানহাইয়চা কুমারের মতো নেতাকে। কেননা গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস বিহার থেকে মাত্র একটি আসনে জয় পেয়েছিল। অন্যদিকে যদি বিধানসভা নির্বাচনের সাম্প্রতিক ইতিহাস দেখা যায়, তাহলে দেখা যাবে ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারির বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস পেয়েছিল মাত্র ১০ টি আসন। ওই বছরের অক্টোবরে হওয়া নির্বাচনে তারা পেয়েছিল মাত্র চারটি আসন এবং ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস মহাজোটের অংশ হিসেবে ২৭ টি আসন পেয়েছিল। ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস মহাজোটে থাকার পরেও তাদের আসন সংখ্যা ১৯-এ নেমে যায়। যে কংগ্রেস একটা সময়ে বছরের পর বছর ধরে বিহারে ক্ষমতায় ছিল, সেই দলের পক্ষে এই ফলাফল যথেষ্টই হতাশাজনক। মূলত গত শতকের আশির দশকে আদবানির রথযাত্রা আর মণ্ডল কমিশন বিহারে কংগ্রেসের ভিত নড়িয়ে দেয়। সেই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস কানহাইয়াকে পেতে প্রবল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সিপিআইতে কানহাইয়ার মর্যাদা কমেছে
২০১৫ সালে কানহাইয়া কুমার দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভাপতি ছিলেন। সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই বিতর্কের জেরেই কানহাইয়ার নাম সারা দেশের মানুষ জানে। সেই সময় এই মামলার জেরে কানহাইয়া কুমারকে জেলে যেতে হয়েছিল। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে সিপিআই-এর তরফে তাঁকে বিহারের বেরুসরাই থেকে প্রার্থী করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি বর্তমানে মোদী সরকারের মন্ত্রী গিরিরাজ সিং-এর কাছে প্রায় ৪.২২ লক্ষ ভোটে হেরে যান। তারপর থেকেই কানহাইয়া কুমারের মর্যাদা কমে সিপিআই-এর কাছে।