নাছোড়বান্দা তরুণীর কাছে হারল রেল, একা ছাত্রীকে নিয়ে অন্য পথে গন্তব্যে পৌঁছল রাঁচি রাজধানী ট্রেন
অবশেষে
একা
মহিলা
যাত্রীকে
নিয়েই
গন্তব্যে
পৌঁছাল
দিল্লি–রাঁচি
রাজধানী
স্পেশাল
ট্রেন।
বৃহস্পতিবার
বিকেলে
ঝাড়খণ্ডের
ডালটনগঞ্জ
স্টেশনে
স্থানীয়দের
প্রতিবাদের
জেরে
দীর্ঘক্ষণ
আটকে
থাকে
ট্রেন
স্টেশনে।
এরপর
রেল
কর্তৃপক্ষ
সিদ্ধান্ত
নেয়
ডলটনগঞ্জ
থেকে
যাত্রীদের
বাসে
চাপিয়ে
গন্তব্যে
পৌঁছে
দেওয়ার।
কিন্তু
এক
ছাত্রী
শুধুমাত্র
ট্রেন
থেকে
নামতে
চান
না।
তিনি
বাসের
বদলে
ট্রেনে
চেপেই
রাঁচি
যাবেন
বলে
স্থির
করেন।
ওই
তরুণীর
জেদের
কাছে
হার
মেনে
অবশেষ
রেল
কর্তৃপক্ষ
অন্য
পথে
রাজধানী
এক্সপ্রেসকে
নিয়ে
যাওয়ার
সিদ্ধান্ত
নেন।
শুক্রবার
ওই
তরুণী
রাঁচি
স্টেশনে
পৌঁছান।
জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের লাটেহার জেলার টোরি জংশনের কাছে জমির অধিকারের দাবিতে রেললাইনে বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন টানা ভগত সম্প্রদায়ের মানুষ। যার জন্য বৃহস্পতিবার রাঁচির দিকে আসা রাজধানী স্পেশাল ট্রেন ডালটনগঞ্জ স্টেশনে আটকে পড়ে।
ওই ট্রেনে প্রায় ৯০০ জন যাত্রী ছিলেন। ওই তরুণী বাদে প্রত্যেক যাত্রীকে বাসে করে রাজধানীতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাসের বন্দোবস্ত করে পালামৌ জেলা প্রশাসন। ওই তরুণী আটকে থাকা ট্রেনের মধ্যেই রয়ে যান। রেল ও রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে ওই তরুণী যাত্রী, যাঁর নাম অনন্যা, তিনি বি–থ্রি কোচে ছিলেন এবং তিনি ট্রেন থেকে নামবেন না বলে জানান। তিনি এও বলেন যে তিনি বাসে সফর করবেন না। জানা গিয়েছে, অনন্যা বেনারস হিন্দু কলেজের আইনের পড়ুয়া।
সরকারিভাবে বলা হয়, 'ওই তরুণী আমাদের বলেন তিনি কিছুতেই বাসে চড়বেন না। তাঁকে যদি বাসেই চাপতে হয় তবে কেন তিনি ট্রেনের টিকিট কেটেছেন?’ অবশেষে রেল কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয় ওই তরুণীর কথা মানতে এবং ফাঁকা ট্রেন শুধুমাত্র তাঁকে নিয়েই সফর করবে বলে জানায়। অন্য পথ দিয়ে ট্রেন রাঁচিতে পৌঁছাবে বলে ঠিক করে রেল কর্তৃপক্ষ। ওই তরুণীর সুরক্ষার জন্য আরপিএফের কিছু কর্মী ও মহিলা কনস্টেবলকেও ট্রেনে বসিয়ে দেয়।
অবশেষে ট্রেনটি ৩০৮ কিমির বদলে ৫৩৫ কিমি ঘুরে গয়া, গোমো ও বোকারো হয়ে রাঁচি পৌঁছায়। ট্রেনটির যাওয়ার কথা ছিল বারকাকানা রুট হয়ে, কিন্তু ওই পথে অবরোধ চলছিল। যদিও ধানবাদের ডিসিএম একে পাণ্ডে অবরোধের তত্ত্ব খারিজ করে জানান যে তরুণী যাত্রীর কারণেই ট্রেনের পথ বদল করা হয়।