২ বছর আগে নিখোঁজ হওয়া রেশমি কীভাবে আধার কার্ডের মাধ্যমে খুঁজে পেল তার পরিবারকে জানুন
২ বছর আগে নিখোঁজ হওয়া রেশমি কীভাবে আধার কার্ডের মাধ্যমে খুঁজে পেল তার পরিবারকে জানুন
এক ১২ বছরের মেয়েকে তাঁর পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিল আধার কার্ড। ১২ বছরের এক বোবা মেয়ের সঙ্গে তাঁর পরিবারের পুর্নমিলন ঘটলো প্রায় দু’বছর পর, তাও আধার কার্ডে আঙুলের ছাপের সাহায্যে।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রেশমি নামের একটি মেয়েকে সেন্ট্রাল রেল স্টেশনে ইতদস্ত ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। এরপর তাকে উদ্ধার করে চাইল্ড হেল্পলাইন। এরপর তাকে সরকারি আশ্রয়স্থানে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকরা কর্মকর্তারা তাকে আধার নথিভুক্তকরণের জন্য নিয়ে আসে। কিন্তু রেশমির আঙুলের ছাপ নিতে বারবার অস্বীকার করে সফটওয়্যার, কারণ একই বায়োমেট্রিক তথ্য রয়েছে রেশমির নামে লুধিয়ানা রাম নগর থেকে। এরপর সরকারি আধিকারিকরা লুধিয়ানার আধারের আঞ্চলিক দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং নিশ্চিত হয় যে রেশমির আঙুলের ছাপের সঙ্গে মিল রয়েছে রাম এলাকার আধার তথ্যের সঙ্গে।
ওআইসি বৈঠকে হুরিয়তকে আমন্ত্রণ করা নিয়ে কড়া মনোভাব ভারতের, কী জানাল বিদেশমন্ত্রক?
এরপর কেন্দ্রের আধিকারিকরা ওই মেয়েটির পরিবারকে সনাক্ত করতে লুধিয়ানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর কর্তৃপক্ষ যখন মেয়েটির পরিবারের সন্ধান পায়, তখন মঙ্গলবারই রেশমিকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। রাজকিয়া বালিকা গৃহের দায়িত্বে থাকা উর্মিলা গুপ্তা জানিয়েছেন যে মহিলা কল্যাণ অধিদপ্তরের নির্দেশ অনুসারে, তিনি দাবিহীন শিশুদের জন্য আধার কার্ড তৈরি করা শুরু করেছিলেন। রেশমির বাবা শঙ্কর রাই, মা বিন্দু দেবী, ভাই মিত্ররঞ্জন এবং পিসি শবনম শহরে আসেন। রেশমীকে দেখে তাঁদের আনন্দ সীমাহীন ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। সরকারি আশ্রয়স্থান থেকে রেশমির নাম রাখা হয়েছিল মানু। রেশমিও তার পরিবারকে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা।
কিছুদিন আগেই একজন মাকে তাঁর বিশেষভাবে সক্ষম ছেলের সঙ্গে পুনরায় মিলিত হতে সাহায্য করে এই আধার কার্ডই৷ ১৯ বছর বয়সী বিশেষভাবে সক্ষম ভরত, যাকে ছয় বছর আগে নাগপুর রেলস্টেশনে পাওয়া গিয়েছিল ৷ আধার কার্ডের দৌলতে কর্নাটকে মায়ের সঙ্গে পুনরায় মিলিত হয় ছেলে। রেশমির মতোই ভরতেরও বায়োমেট্রিক তথ্য নিতে অস্বীকার করে আধার সিস্টেম। এইভাবেই ভরতকে খুঁজে পান তাঁর মা।