দিল্লিতে বাড়ছে অপরাধের পরিমাণ, সর্বাধিক চিন্তা বাড়াচ্ছে চোরদের বাড়বাড়ন্ত, বলছে এনসিআরবি
জাতীয় গড়কেও ছাপিয়ে গেল দিল্লির অপরাধের বাড়বাড়ন্ত, বলছে এনসিআরবি
করোনাকালে থমকেছে দেশীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি, থমকেছে মানুষের জীবনমান। কিন্তু তারমাঝেই দেশজুড়ে ক্রমেই বেড়ে চলেছে অপরাধের সংখ্যা। এমতাবস্থায় রাজধানী দিল্লির অপরাধের পরিমাণ বৃদ্ধি উদ্বেগজনক চিত্র সামনে আনল ন্যাশান্যাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো বা এনসিআরবি।
২০ শতাংশ পর্যন্ত অপরাধ বৃদ্ধি
সদ্য প্রকাশিত এনসিআরবি-র তথ্য দেখা যাচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে দিল্লিতে অপরাধের পরিমাণ। ওই রিপোর্টেই দেখা যাচ্ছে ২০১৮ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দিল্লিতে অপরাধের পরিমাণ প্রায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু উদ্বেগজনক ভাবে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুসারে দায়ের হওয়া মামলার সংখ্যা এই সময়ের ব্যাবধানে মাত্র তিন শতাংশ বেড়েছে।
৮২ শতাংশই চুরির ঘটনা
প্রসঙ্গে ২০১৮ থেকে ২০১৯ সালে গোটা দিল্লিতে চুরির ঘটনাও ২৫.৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানাচ্ছে এনসিআরবি। চলতি বছরের চিত্রটা যে আরও উদ্বেগজন হবে তা বলাই বাহুল্য। অন্যদিকে ২০১৯ সালে দিল্লিতে মোট সংগঠিত অপরাধের মধ্যে ৮২ শতাংশই চুরির ঘটনা। পুলিশের খাতায় নথিভুক্ত হয়েছে প্রায় ২ লক্ষ ৯০ হাজার কেস।
গোটা দেশে চুরির ঘটনা বেড়েছে ৮ শতাংশ
যদিও দিল্লির সাথে গোটা দেশের অপরাধের ধরণে যে একটা বড়সড় পার্থক্য আছে তা এনসিআরবি-র রিপোর্টেই স্পষ্ট। ২০১৮-১৯ সালে গোটা দেশে নথিভুক্ত অপরাধের পরিমাণ প্রায় ৩২ লক্ষের বেশি বলে জানাচ্ছে এনসিআরবি-র তথ্য। যার মধ্যে মাত্র ২০ শতাংশই চুরির ঘটনা বলে জানা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন এই সময়ের ব্যবধানে ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে চুরির ঘটনা মাত্র ৮ শতাংশ বেড়েছে।
খানিকটা হলেও কমেছে বাইক চুরির পরিামাণ
একই সাথে এই সময়ে গোটা রাজধানী সমস্ত অপরাধের পরিমাণ যখন প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে সেখানে গোটা দেশের নিরিখে এই অনুপাত ৩ শতাংশ। এদিকে চুরির ঘটনার মধ্যে দিল্লির বাইক চুরির পরিমাণ বৃদ্ধি গত কয়েকবছরে যথেষ্টই উদ্বেগ বাড়িয়েছে কেজরিওয়াল সরকারে। যদিও খানিক স্বস্তির খবর হিসাবে ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালের বাইক চুরির পরিমাণ ০.৪৫ শতাংশ কমেছে বলে দেখা যাচ্ছে এনসিআরবি-র রিপোর্টেই। ২০১৮ সালে গোটা দিল্লিতে যেখানে ৪৬ হাজার ৪৩৩টি বাইক চুরি হয় ২০১৯ সালে তা নেমে দাঁড়ায় ৪৬ হাজার ২১৫।
বাবরি রায়ের জন্য অবসরের দিন পিছোল বিচারকের, বিচারক এস কে যাদবের এজলাসেই রায়দান