ভারতে ক্রমেই বাড়ছে আত্মহত্যার হার, শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র
ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরো রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতে ক্রমেই আত্মহত্যার মতো ঘটনা বাড়ছে। গত এক বছরে ভারত জুড়ে ১,৬৪,০৩৩টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে আত্মহত্যার ঘটনা ৭.২ শতাংশ বেড়েছে।
ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরো রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতে ক্রমেই আত্মহত্যার মতো ঘটনা বাড়ছে। গত এক বছরে ভারত জুড়ে ১,৬৪,০৩৩টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে আত্মহত্যার ঘটনা ৭.২ শতাংশ বেড়েছে। ভারতে সব থেকে বেশি আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রে। তারপরেই রয়েছে তামিলনাড়ু ও মধ্যপ্রদেশ।
ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরোর রিপোর্টে বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্রে গত এক বছরে ২২,২০৭ জন আত্মহত্যা করেছেন। তারপরেই রয়েছে তামিলনাড়ু। এখানে গত এক বছরে ১৮,৯২৫ জন আত্মত্যা করছে। মধ্যপ্রদেশে এই ঘটনা ১৪,৯৬৫টি, পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যা ১৩,৫০০টি, কর্ণাটকের সংখ্যা ১৩,০৫৬টি। ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরোর রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত এক বছরে মোট আত্মহত্যার ৫০.৪ শতাংশ পাঁচটি রাজ্যে হয়েছে। বাকি ৪৯.৬ শতাংশ ২৩টি রাজ্য আটটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ঘটেছে। ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী উত্তরপ্রদেশে আগের থেকে আত্মহত্যার রিপোর্ট অনেকটাই কমেছে। উত্তরপ্রদেশে আত্মহত্যার হার ৩.৬ শতাংশ। সারা দেশের তুলনায় উত্তরপ্রদেশের জনসংখ্যার হার ১৬.৯ শতাংশ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, জনসংখ্যার তুলনায় আত্মহত্যার হার অনেকটাই কম। যা যথেষ্ঠ আশার খবর।
ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২১ সালে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলোর মধ্যে দিল্লিতে আত্মহত্যার সংখ্যা সব থেকে বেশি। দিল্লিতে আত্মহত্যার ২,৮৪০টি ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে। পুদুচেরির ক্ষেত্রে সেই সংখ্যা ৫০৪টি। এনসিআরবি-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে দেশের ৫৩টি বড় শহরে মোট আত্মহত্যার সংখ্যা ২৫,৮৯১টি। ২০২১ সালে ভারতে আত্মহত্যার রিপোর্ট ছিল সব থেকে বেশি। ২০২১ সালে ভারতে আত্মহত্যার হার ছিল ১২ শতাংশ।
ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরোর রিপোর্টে জানানো হয়েছে, পেশাগত সমস্যা, মানসিক সমস্যা, পারিবারিক সমস্যা, একাকীত্ব, হিংসাত্মক ঘটনা, বিভিন্ন ধরনের মাদক আসক্তি, দীর্ঘমেয়াদী রোগ, আর্থিক দুরস্থা ভারতে আত্মহত্যার নেপথ্যে দায়ী। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ২০২১ সালে করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ ভারতের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। দ্বিতীয় বারের লকডাউনে অনেক মানুষ চাকরি হারিয়েছিলেন। প্রথমবারের লকডাউনে সঞ্চয়ের ওপর অনেকে নির্ভর করলে, দ্বিতীয়বারের লকডাউনে সেই ভরসাও থাকে না, প্রিয়জনকে হারানোর কারণে অনেকে মানসিক অবসাদে চলে যান। আগের বছরের তুলনায় ২০২১ সালে আত্মহত্যার সংখ্যা অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। ২০২০ সালে সারা ভারতে মোট আত্মহত্যার সংখ্যা ছিল ১,৫৩,০৫২। ২০২১ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৬৪,০৩৩।