বিজেপির মন্ত্রী-বিধায়কদের তৃণমূল-যোগ! একমাসও টিকবে না বিপ্লব-সরকার, যদি...
বিজেপির মন্ত্রী-বিধায়কদের তৃণমূল-যোগ! একমাসও টিকবে না বিপ্লব-সরকার, যদি...
তৃণমূল যদি মনে করে ঘর ভাঙাবে, তবে একমাস টিকবে না ত্রিপুরার বিপ্লব দেবের নেতৃত্বাধীন বিজেপির সরকার। ত্রিপুরায় পা দিয়েই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন বিজেপিকে। সেইসঙ্গে আশ্বস্তও করলেন অভিষেক। বাংলা জয়ের পর তৃণমূলের এবার ত্রিপুরা অভিযান জমে গেল শুরতেই।
বিজেপির মতো ব্যাকডোর দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায় না তৃণমূল
অভিষেকের কথায়, বাংলায় বিজেপিকে গোহারা হারানোর পর আমরা পাখির চোখ করেছিল ত্রিপুরাকে। এবার ত্রিপুরা অভিযানে তৃণমূলের লক্ষ্য বিজেপি স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করে মানুষের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। তার জন্য ২০২৩-এর নির্বাচনকেই টার্গেট করেছে বিজেপি। বিজেপির মতো ব্যাকডোর দিয়ে ক্ষমতায় আসতে তারা চান না।
আমরা ঘর ভাঙাতে চাই না, গড়ার অভিযান শুরু এবার ত্রিপুরায়
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার ত্রিপুরায় সংবাদিক বৈঠকে বলেন, আমরা যদি ইচ্ছা করি ত্রিপুরার বিপ্লব দেব সরকারকে একমাসের মধ্যে ফেলে দিয়ে পারি। কিন্তু আমরা ঘর ভাঙাতে চাই না। ঘর ভাঙানো আমাদের উদ্দেশ্য নয়, উদ্দেশ্য ত্রিপুরবাসীর জন্য সুশাসন আনা। আমরা সেই অভিযানই শুরু করেছি। যার সূচনা হল আজ থেকে।
বিজেপি নেতা-মন্ত্রীরা যোগাযোগ রাখছেন, ২০২৩-এই পরিবর্তন
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বলেন, অনেকে বিজেপি নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এমনকী কলকাতায় গিয়েও অনেকে বৈঠক করে এসেছেন। অনেকেই যোগাযোগ রেখে চলছেন আমাদের সঙ্গে। আমরা এখনই কারও ঘর ভাঙতে চাই না। তাঁদের আমরা আশ্বস্ত করেছি, ত্রিপুরার মানুষ চাইলে ২০২৩-এ পরিবর্তন হবে ত্রিপুরায়।
বিপ্লব দেবের ডানদিক-বামদিকে যাঁরা থাকেন, তাঁরাও...
অভিষেক বলেন, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের ডানদিক-বামদিকে যাঁরা থাকেন, তাঁদের মধ্যেই অনেকে যোগাযোগ করেছেন আমাদের সঙ্গে। আমি নাম বলে তাঁদের অস্বস্তিতে ফেলতে চাই না। আমরা চাই ত্রিপুরার মানুষ যে সরকারকে নির্বাচিত করে এনেছে আগামী পাঁচ বছরের জন্য, তারা যেন পুরো মেয়াদ সরকারে থাকে।
দেড় বছর সময় হাতে আছে, ত্রিপুরায় সুশাসন আনার অঙ্গীকার
তৃণমূল টার্গেট করেছে ২০২৩-এর নির্বাচন। ওই নির্বাচনে দিতেই ত্রিপুরার ক্ষমতা দখল করতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। অভিষেক বলেন, দেড় বছর সময় হাতে আছে। এই দেড় বছর আমরা সমস্ত শক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ব। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যদি একবার আসে আমি পাঁচবার আসব। প্রতি সপ্তাহে সপ্তাহে আসব। ত্রিপুরার মানুষকে সুশাসন এনে দিতেই হবে।
মানুষ যখন চাইবে পরিবর্তন, কোনও দলই আটকাতে পারবে না
অভিষেক বলেন, ২০১৮-য় বিজেপি যখন ক্ষমতায় এসেছিল তখন তাঁদের কোনও সংগঠন ছিল না। ত্রিপুরার মানুষ চেয়েছিল ২৫ বছরের বাম সরকারতে উৎখাত করতে। সেজন্যই বিজেপি আজ ক্ষমতায়। মানুষ যখন চাইবে পরিবর্তন, তখন কোনও দলই তা আটকাতে পারবে না। তেমনই ২০২৩-এ বিজেপির পতনও রোধ করা সম্ভব নয়।
ত্রিপুরার মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে, ২০২৩-এ ফের পরিবর্তন
ত্রিপুরার মানুষ বুঝতে পেরে গিয়েছে, তাঁরা সিপিএমকে সরিয়ে কতবড় স্বৈরাচারী শাসককে ডেকে এনেছে। চোর সরিয়ে ডাকাতকে বসিয়েছে। এই উপলব্ধি হওয়ার পরই ত্রিপুরার মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে, আসন্ন নির্বাচনে ফের পরিবর্তন করার। বিজেপিতে সরিয়ে তৃণমূলকেই তাঁরা বেছে নেবেন, এটাই আমাদের বিশ্বাস।
মানুষের ডাকেই ত্রিপুরা বিজয় অভিযান শুরু করলেন অভিষেক
অভিষেক বলেন, বাংলায় যেমন সুশাসন এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে, মানুষের দুয়ারে সরকারকে নিয়ে গিয়েছেন আমাদের নেত্রী, তেমনই ত্রিপুরাবাসীকেও আমরা সুশাসন দেব, এটাই আমাদের অঙ্গীকার। মানুষের ডাকেই তৃণমূল আজ ত্রিপুরা বিজয় অভিযান শুরু করল। ত্রিপুরায় সরকার গড়েই তারা থামবে।
ত্রিপুরার মাটিতে পা দিয়েই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন অভিষেক
এই মর্মে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি ত্রিপুরার মাটিতে পা দিয়েই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন বিপ্লব দেব সরকারের দিকে। চ্যালেঞ্জ নিয়েই তিনি বলেন, আজকের তারিখটা লিখে রাখুন, আগামী দেড় বছরের মধ্যে ত্রিপুরায় সরকার গড়বে তৃণমূল। তৃণমূল যখন ত্রিপুরায় পা দিয়েছে, সরকার গড়েই ত্রিপুরা ছাড়বে তারা। সেই লক্ষ্যেই এদিন থেকে শুরু হল 'এবার ত্রিপুরা' অভিযান।
সিঙ্গল ইঞ্জিনেই মানুষের দুয়ারে সরকারকে পৌঁছে দিয়েছেন মমতা
অভিষেক ত্রিপুরায় পরিবর্তনের ডাক দিয়ে ত্রিপুরার মানুষের সহযোগিতা চেয়েছেন। তিনি বলেন, এবার ত্রিপুরার মানুষ যদি চান, তাঁরা মানুষের দুয়ারে নিয়ে যেতে সমর্থ হবেন সরকারকে। কারণ তাঁদের নেতৃত্ব জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকার ত্রিপুরাকে কিছুই দিতে পারেনি। সিঙ্গল ইঞ্জিনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দেবেন তাঁর সরকারকে। কথা দিচ্ছি, দেড় বছরের মধ্যে ত্রিপুরায় উন্নয়নের সরকার গড়ে তুলব আমরা।