সচিনের বাড়ির সামনে আর্জি কৃষক-পুত্রের, কৃষকদের সমর্থনে টুইটের আবেদন আপ নেত্রীর
সচিনের বাড়ির সামনে আর্জি কৃষক-পুত্রের, কৃষকদের সমর্থনে টুইটের আবেদন আপ নেত্রীর
সচিনের টুইট নিয়ে চর্চা থামছেই না। আমেরিকার পপ তারকা রিহানা, সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবাগরা সম্প্রতি ভারতে কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে টুইট করেছিলেন। তার পাল্টা হিসেবে টুইট করেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর, লতা মঙ্গেশকর, রবি শাস্ত্রী, বিরাট কোহলি-সহ বহু তারকা। বহিরাগত শক্তির ইন্ধন বরদাস্ত না করার পক্ষে সওয়াল করে সচিন তাঁর টুইট বার্তায় লিখেছিলেন, দেশের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আপোস নয় একেবারেই। #IndiaTogether, #IndiaAgainstPropaganda-র মতো হ্যাশট্যাগ মুহূর্তে ট্রেন্ডিং হয়ে যায়। যদিও সচিনদের টুইট কেন্দ্রে শাসক দলের হাত শক্ত করছে বলেও অভিযোগ ওঠে। সচিন, লতা, কোহলিদের এমন টুইট করতে বাধ্য করা হয়েছিল কিনা সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করার কথা জানিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। এই টুইটের জন্য সবচেয়ে সমালোচিত হন সচিন তেন্ডুলকর ও লতা মঙ্গেশকর। বিভিন্ন মহল থেকে কিংবদন্তিদের এমন অসম্মানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদও শোনা গিয়েছে। এই আবহেই এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে এক কৃষক-পুত্র, আর তাকে সমর্থন জানিয়ে সচিনকে উদ্দেশ করে আপ নেত্রীর খোলা চিঠি।
আম আদমি পার্টির ন্যাশনাল এগজিকিউটিভ মেম্বার প্রীতি শর্মা মেনন টুইটারে সেই খোলা চিঠির সঙ্গে সচিনের বান্দ্রার বাড়ির সামনে পোস্টার হাতে এক কৃষক-পুত্রের ছবি পোস্ট করেছেন। তিনি আবেদন জানিয়েছেন, সচিন অন্তত একবার দেশের অন্নদাতা কৃষক, যাঁরা জীবন-জীবিকা রক্ষার তাগিদে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন করছেন, তাঁদের সমর্থনে কিছু বার্তা দিন। সচিনের সাফল্যে যাঁরা আনন্দ পেয়েছেন, ব্যর্থতায় চোখের জল ফেলেছেন, সচিনের সাফল্যের প্রার্থনা করেছেন তাঁদের মধ্যে অনেক কৃষকরাও ছিলেন। তাই কৃষকদের সমর্থনে টুইট করলে সচিনের পাশে অনেকে থাকবেন বলেও মনে করেন ওই আপ নেত্রী।
সচিনের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক কৃষক-পুত্রের ছবি পোস্ট করে প্রীতি শর্মা মেনন লিখেছেন, ভারতে ক্রিকেট একটা ধর্ম আর সচিন ক্রিকেটের ভগবান। ৪০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সেই ভগবানের বাড়ির সামনেই সোলাপুরের দেবনগরী পান্ধারপুর থেকে এসেছিল রঞ্জিত বাগাল। তার হাতে ছিল কৃষক সংগঠন, স্বাভিমানী শেতকরী সংগঠনের পোস্টার। এতেও আর্জি জানানো হয় কৃষকদের সমর্থনে অন্তত একটি টুইট করুন সচিন। সেই আর্জিকে সমর্থন জানিয়ে আপ নেত্রীর খোলা চিঠির পর সচিন কী পদক্ষেপ করেন, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।