রহস্যে ঘেরা মহাজাগতিক প্রস্তরখণ্ড ঘিরে উত্তেজনা বিহারে
আস্ত একটি প্রস্তরখণ্ড। ওজন ১৩ কেজি হবে। এই প্রস্তর খণ্ডই এখন মাথাব্যথার কারণ হযে উঠেছে বিহার মধুবনির এই ছোট্টগ্রামে। ফাঁকা জায়গায় আচমকা এত বড় একটা পাথর উড়ে এসে জুড়ে বসল কী করে।
আস্ত একটি প্রস্তরখণ্ড। ওজন ১৩ কেজি হবে। এই প্রস্তর খণ্ডই এখন মাথাব্যথার কারণ হযে উঠেছে বিহার মধুবনির এই ছোট্টগ্রামে। ফাঁকা জায়গায় আচমকা এত বড় একটা পাথর উড়ে এসে জুড়ে বসল কী করে। সেই রহস্যই এখন ঘুম কেড়েছে মধুবনির জেলা প্রশাসনের। জেলা শাসক কপিল অশোক দাবি করেছেন, এই পাথরটি আসলে একটি গ্রহাণুর অংশবিশেষ।
গ্রামবাসীদের মুখে এই নিয়ে নানা গল্প কথা শোনা যাচ্ছে। এক গ্রামবাসী জানিয়েছেন, মাঠে দল বেঁধে কাজ করছিলেন তাঁরা, সেইসময় একটি বিকট শব্দ হয়। শব্দের উৎসর সন্ধানে গিয়ে তাঁরা দেখতে পান একটি অতিকায় পাথর জমিতে রীতিমত গর্ত করে বসে আছে।
সেই গর্তের গভীরতা প্রায় পাঁচফুট। দেখে বোঝাই যাচ্ছিল সজোরে কোনও পাথর মাটিতে পড়লে যেমন গর্ত তৈরি হয় অনেকটা সেরকমই ঘটেছে। জেলাশাসক জানিয়েছে প্রস্তর খণ্ডটি আর পাঁচটা পাথরের টুকরোর মতো নয়। দেখেই বোঝা যাচ্ছে মহাজাগতিক কোনও বস্তু। ওজন প্রায় ১৩ কেজির কাছাকাছি। গ্রামবাসীরাই গর্ত থেকে পাথরের খণ্ডটি বের করে জেলা প্রশাসনকে জানান। আপাতত সেটি জেলা প্রশাসনের কোষাগারে জমা রয়েছে।
জেলা শাসক জানিয়েছেন এই প্রস্তরখণ্ডের রহস্য উন্মোচনে রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের সচিবকে জানানো হয়েছে। পাথরের মত দেখতে হলেও এর গায়ে অভ্রের মতো চকচকে বস্তুু রয়েছে। অমসৃণ পাথরের মতোই চমকাচ্ছে এটি। এর মধ্যে একটি চৌম্বক শক্তি রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়া ওখনই সঠিকভাবে কিছু বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন জেলা শাসক।