একদিনে আক্রান্ত প্রায় ১০ হাজার! আনলক ১-এ ক্রমেই করোনা গহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছে ভারত
দেশে একদিনে সব থেকে বেশি করোনা সংক্রমণ লক্ষ্য করা গেল শুক্রবার। প্রতিদিনিই নতুন করে রেকর্ড তৈরি হচ্ছে দেশে। এ রেকর্ড ভয়াবহ। করোনা সংক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন লাফিয়ে বাড়ছে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে দেশের সমস্ত পরিষেবা। খুলতে শুরু করেছে দোকানপাট। তারমধ্যেই প্রতিদিন রেকর্ড হারে বাড়ছে দেশে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ২ লাখের গণ্ডি পার করে আপাতত সংক্রমণের হারে বিশ্বে সপ্তম স্থানে ভারত।
গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৮৫১ জন
গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৮৫১ জন। যা এখনও পর্যন্ত একদিনে সংক্রমণের হারে সর্বোচ্চ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ২৭৩ জনের। যা নিয়ে দেশে মোট মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়াল ৬৩৪৮ -এ। দেশে মোট করোনা কেস ছাড়িয়ে গিয়েছে ২ লক্ষ ২৬ হাজারের গণ্ডি।
মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত ৭৭ হাজার ৭৯৩
এদিকে দেশে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত মহারাষ্ট্রে। এখনও পর্যন্ত ৭৭ হাজার ৭৯৩ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু এরাজ্যেই নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩ হাজার জন। তারপরই রয়েছে তামিলনাড়ু। এখানে করোনা আক্রান্ত ২৭ হাজার ২৫৬ জন। গত তিনদিনে এখানে একসঙ্গে হাজারেরও বেশি মানুষের শরীরে করোনা পজিটিভ মিলেছে। পশ্চিমবঙ্গে মোট করোনা কেসের সংখ্যা ৬৮৭৮টি। মৃত ৩৫৫।
সংক্রমণ বাড়ছে দিল্লি ও গুজরাতে
সংক্রমণ বাড়ছে দিল্লি ও গুজরাতেও। দেশে প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের হার গড়ে আট হাজারের বেশি। রাজ্যগুলিতে পরিযায়ী শ্রমিকরা ফেরায় বাড়ছে সংক্রমণ। দেশে করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার হার গতকাল পর্যন্ত ছিল ৪৮.৩১ শতাংশ। এখন তা নেমে দাঁডি়য়েছে ৪৭.৯৯ শতাংশে। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৪৫০ জন।
হাসপাতালে বেডের চাহিদাও বাড়ছে
আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি হাসপাতালে বেডের চাহিদাও বাড়ছে। বাড়ছে ভেন্টিলেটরের চাহিদাও। সব হাসপাতালেই ভেন্টিলেটর না থাকায় অনেকক্ষেত্রে বার বার রোগীকে স্থানান্তর করা হচ্ছে। যাতে অন্যান্যদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে প্রথম পর্যায়ে ১০০টি ভেন্টিলেটর ভারতকে দিচ্ছে আমেরিকা। যা আগামী সপ্তাহের মধ্যেই দেশে চলে আসবে।
করোনা আবহে ফের শুরু হতে চলেছে দিল্লির শাহিনবাগ প্রতিবাদ?