করোনা লকডাউনে ওভারটাইম করেছেন ৭৫ শতাংশ পেশাদার কর্মী, জানাল সমীক্ষা
করোনা লকডাউনে ওভারটাইম করেছেন ৭৫ শতাংশ পেশাদার কর্মী, জানাল সমীক্ষা
করোনা ভাইরাসের জেরে গোটা দেশজুড়ে লকডাউনের সময় বেসরকারি কর্পোরেট সংস্থাগুলি তাদের কর্মীদের দিয়ে বাড়িতে বসিয়েই কাজ হাসিল করে নিচ্ছিল। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে ৭৪.৮ শতাংশ কর্পোরেট পেশাদারির লোক জানিয়েছেন যে লকডাউনের সময় তাঁরা বাড়িতে অতিরিক্ত সময় কাজ করেছেন। তাঁদের কাজের সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
কাজের সময় মেলেনি কোনও ব্রেক
জিংএইচআরের দ্বারা করা এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে প্রায় ৫০ শতাংশ উত্তরদাতারা স্বীকার করেছেন যে তাঁরা বাড়ি থেকে কাজের সময় কৌশলগত বিরতি নিতে পারেননি এবং ৩৪.৫ শতাংশ জানিয়েছেন যে অতিরিক্ত কাজের ফলে তাঁদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। এই সমীক্ষার উদ্দেশ্য ছিল কর্পোরেট পেশাদাররা কীভাবে বিশ্বব্যাপী দূরবর্তী কাজের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে তা মূল্যায়ন করা।
অনেকেই বাড়ির মহিলাদের কাজে সহায়তা করতে পারেননি
৪২.৮ শতাংশ মহিলা জানিয়েছেন যে লকডাউনের সময় বাড়ির পরিচারিকা না আসার কারণে তাঁদের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। অন্যদিকে ৫৪.৬ শতাংশ পেশাদাররা জানিয়েছেন যে লকডাউনে বাড়ি থেকে কাজের ফলে তাঁরা নিজেদের শখ পূরণ করার জন্য সময় বের করতে অক্ষম হয়েছেন। পুরো পরিবারের জন্য যেখানে কোভিড-১৯ মহামারি কছিন সময়, যেখানে ৫৩.৩ শতাংশ মানুষ তাঁদের স্বামী-স্ত্রীর কাছ থেকে বাড়ির দৈনন্দিন কাজের জন্য সহায়তা পেয়েছেন। প্রায় ৭৬.৩ শতাংশ পেশাদারার এই জটিল সময়ে তাদের উর্ধ্বতনদের এবং সতীর্থদের সমর্থন স্বীকার করেছেন।
ব্যক্তিগত নির্দেশিকার দাবি
বেসরকারি কর্মীদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে বাড়ি থেকে কাজ করার সময় তাঁরা তাঁদের মস্তিষ্ককে ঘড়ির বাঁধাধরা সময় থেকে বের করতে পেরেছিলেন কিনা, এ প্রশ্নের জবাবে ২৭.৩ শতাংশ জানিয়েছেন যে মাঝে মাঝে, ২৭.৩ শতাংশ জানান তাঁরা ঠিক বলতে পারছেন না এবং ২২ শতাংশ না বলেছেন। প্রায় ৭০ শতাংশ উত্তরদাতা দাবি করেছেন যে প্রতিটি ব্যক্তির জন্য বাড়ি থেকে কাজ করার মডেল হিসাবে সংস্থার ব্যক্তিগত নির্দেশিকা থাকা উচিত। এই নির্দেশিকা নিরপেক্ষ লিঙ্গের ভিত্তিতে হওয়া দরকার, যেখানে পুরুষদের চাকরীজীবি স্ত্রী বা বাড়ির গৃহিনীদের নির্বিশেষে বাড়ির কাজে সহায়তা করার জন্য সমান সুযোগ দেওয়া উচিত।
৩০০ জনের ওপর সমীক্ষা করা হয়
৩০০ জন পেশাদার মানুষের ওপর এই সমীক্ষা করা হয়েছে। এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে বাড়ি থেকে কর্মরত কর্মীদের কাজের সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হোক এবং তাঁদের নিজেদের জন্যও কিছু সময় বাঁচিয়ে দেওয়া হোক। তবেই কাজের ধারা বজায় থাকবে এবং সংস্থা ও কর্মীর মধ্যে ভালো সম্পর্ক তৈরি হবে। কর্মজীবনে সামঞ্জস্য বজায় রাখা এবং তাতে উৎসাহীত করা খুবই জরুরি। কাজের সময় পরিচালনা করা, নিজের অধীনস্ত কর্মীদের প্রশংসা করা এবং তাঁদের অনুপ্রাণিত করা কাজেরই এক অংশ। সংস্থায় অবশ্যই ম্যানেজার ও কর্মীদের মধ্যে খোলাখুলি কথাবার্তার সুযোগ থাকা উচিত।
কর্মীদের করণীয়
নিজের নির্ধারিত কাজের সময় সূচী তৈরি করুন এবং সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করুন। মাথারও বিশ্রাম প্রয়োজন, তাই চাপ কমানোর জন্য অনবরত কাজ না করে নিজের পছন্দের কোনও কাজ করতেই পারেন। আপনি কোন সময়ে সবচেয়ে ভালো কাজ করতে পারেন তা নিজেই নির্ধারণ করুন এবং এটির চারপাশে আপনার কাজের পরিকল্পনা করুন। টাস্ক লিস্ট তৈরি করে সেটা পূরণ করার চেষ্টা করুন।
সোনার দাম ফের উর্ধ্বমুখী, রুপোর দাম রেকর্ডে! কলকাতায় সোনালী ধাতুর মূল্য একনজরে