অসমে আটকে রয়েছেন রাজ্যের ছয় প্রবীণ, বাড়ি ফেরার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি
অসমে আটকে রয়েছেন রাজ্যের ছয় প্রবীণ, বাড়ি ফেরার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি
করোনা ভাইরাসের জেরে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। যার জন্য বিদেশে তো বটেই দেশেরও বিভিন্ন রাজ্যে আটকে রয়েছেন মানুষ। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বাইরে আটকে মানুষদের আশ্বাস দিয়েছেন যে তিনি সব ধরনের সাহায্য করবেন। অসমের চা বাগানে আটকে থাকা সেরকমই ছয় প্রবীণ ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্যের জন্য আর্জি জানালেন।
অসমে ঘুরতে যান রাজ্যের ছয় প্রবীণ নাগরিক
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় ৫৮ বছরের অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন তিনি এবং তাঁর পাঁচ বন্ধু ২০ মার্চ অসমের কামাখ্যা মন্দির দর্শনের জন্য গিয়েছিলেন। তাঁদের ফেরার কথা ছিল ২৬ মার্চ। যদিও দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণার পর তাঁরা আটকে পড়েন এবং তখন থেকেই তাঁরা খয়রাবাড়ি অম্বিকা চা বাগানে রয়েছেন। অজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা খুবই অবাক হয়ে যাই যে আমাদের বাড়ি ফেরার সময় না দিয়েই দেশজুড়ে লকডাউনের ঘোষণা করে দেওয়া হল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই লকডাউন শুরু হয়ে যায়। আমরা তখন থেকেই চা বাগানে আটকে রয়েছি। এটা আমাদের বন্ধুর চা বাগান বলে এখনও আমরা তাঁকে এখানে থাকার জন্য কোনও টাকা দিইনি। কিন্তু আমাদের খাবার ও ওষুধের জন্য অর্থের প্রয়োজন। আমরা যেহেতু সকলেই প্রবীণ, আমাদের মধ্যে দুই-একজনের ব্লাড সুগার ও হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে। আমাদের কাছে যে ওষুধ রয়েছে তা বেশিদিন স্থায়ী হবে না। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্জি জানাচ্ছি যে আমাদের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।'
কলকাতা ও হাওড়ার বাসিন্দা আটকে অসমে
অজয় চক্রবর্তী সহ সারদা ব্যানার্জি (৬৩) ও ইন্দ্রানী ব্যানার্জী (৫৬) তিনজনই কলকাতার বাসিন্দা। অন্যদিকে সন্দীপ পাল (৬২), সঙ্গীতা পাল (৫১) ও সঞ্চিতা মুন্সি (৫৪) এঁরা তিনজন হাওড়ার বাসিন্দা। অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন যে স্বাস্থ্যকর্মীরা চা বাগানে এসেছিলেন এবং কোভিড-১৯-এর পরীক্ষা করে নিয়ে গিয়েছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই নেগেটিভ বলে জানা গিয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই রাজ্য সরকারের কাছে তাঁদের বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করতে বলেছে।
মুখ্যমন্ত্রীর টুইট
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন যে লকডাউনের কারণে রাজ্যের বাইরে যাঁরা আটকে রয়েছেন তাঁদেরকে সাহায্য করবে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর টুইটারে লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার সব ধরনের সম্ভাব্য সাহায্য করার উদ্যোগ নিয়েছে যাঁরা রাজ্যের বাইরে বিভিন্ন অংশে লকডাউনের কারণে আটকে রয়েছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে। আমি আমার অফিসারদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি। শেষপর্যন্ত আমি রয়েছি, বাংলার কেউ যেন নিজেকে অসহায় মনে না করেন। এই কঠিন সময়ে আমি তাঁদের পাশে রয়েছি।'
লকডাউনের মাঝে খুলে গেল কেদারনাথ, প্রথম পুজো হল প্রধানমন্ত্রীর নামে