তৃতীয় ওয়েভে টিকাকরণই একমাত্র আশা, দেশে এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৪৫ কোটির বেশি মানুষ
তৃতীয় ওয়েভে টিকাকরণই একমাত্র আশা, দেশে এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৪৫ কোটির বেশি মানুষ
তৃতীয় ওয়েভ থেকে একমাত্র টিকাকরণই রক্ষা করতে পারে বলে মনে করছেন দেশের চিকিৎসক–বিশেষজ্ঞরা। তাই কেন্দ্র সরকারও টিকাকরণের ওপরই জোর দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশে কমপক্ষে ৪৫.৫ কোটি টিকাকরণ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে দ্বিতীয় ওয়েভের সময় অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহকারী কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য শহরের ড্রাগ নিয়ামক বিভাগকে সতর্ক করে দিল্লি হাইকোর্ট এবং আপ বিধায়ক প্রবীণ কুমারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করায় হাইকোর্টের ভর্ৎসনা শুনতে হয় ড্রাগ নিয়ামক বিভাগকে।
৪৫ কোটির বেশি ভ্যাকসিনের ব্যবহার
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ৪৫৫,৫০২,৪৩৮টি ভ্যাকসিন ডোজ প্রয়োগ করা হয়েছে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। ওইদিন আবার গোটা দেশে ৪,৬৫২,৯১৪টি ভ্যাকসিন ডোজ ব্যবহার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার ১৮-৪৫ বছর বয়সের গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ২,২৮৩,০১৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৪৩৪,৯৯০ জন। সামগ্রিকভাবে, গোটা দেশে ওই বয়সের জনগোষ্ঠীর মধ্যে ১৪৬,৬২২,৩৯৩ জন প্রথম ডোজ পেয়েছেন এবং ৭,৬৫১,২৬১ জন দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। গত ১ মে থেকে দেশে তৃতীয় করোনা ভাইরাস টিকাকরণের পর্যায় শুরু হয়েছে।
টিকাকরণের পরিসংখ্যান
দেশের মধ্যে মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশে ১৮-৪৫ বছরের নাগরিকদের মধ্যে এক কোটির বেশি জন টিকা পেয়েছেন। এছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম, ছত্তিশগড়, দিল্লি, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, কেরল, তেলাঙ্গানা, হিমাচল প্রদেশ, ওড়িশা, পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গে ওই গোষ্ঠীর মধ্যে দশ লক্ষের বেশিজন টিকা পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
দেশে নতুন করোনা কেস
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪,২৩০টি নতুন করোনা কেস সনাক্ত হয়েছে এবং দৈনিক পজিটিভ হার ২.৪৪ শতাংশ বলে জানা গিয়েছে। নতুন করোনা কেসের সঙ্গে সক্রিয় কোভিড কেসের সংখ্যা ৪০৫,১৫৫টি, যা মোট সংক্রমণের ১.২৮ শতাংশ। এই নিয়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দেশে ৩১,৫৭২,৩৪৪। কেরল, মহারাষ্ট্র সহ ৬ রাজ্যে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি বলে জানা গিয়েছে। যার মধ্যে কেরল সবচেয়ে বেশি ভাবাচ্ছে সরকারকে।
উদ্বেগ বাড়িয়েছে কেরল
ইতিমধ্যেই কেরলের কোভিড পরিস্থিতি দেখতে ৬ সদস্যের কেন্দ্রীয় দল ফের রাজ্যে এসেছেন। তাঁরা রাজ্যের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে কোভিড পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন। অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে কেরলে তৃতীয় ওয়েভ ঢুকে পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পিনারাই বিজয়নের রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজারেরও বেশি। দেশ জুড়ে দৈনিক সংক্রমণ সাড়ে ৪৩ হাজারের সামান্য বেশি। কিন্তু এর ৫১ শতাংশ কেরল থেকে। বকরি ঈদের আগে টানা তিন দিন দোকান-বাজার খোলার সিদ্ধান্তে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন বিজয়ন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এরই ফল মিলছে দৈনিক সংক্রমণের লাগাতার ঊর্ধ্বগতিতে। প্রশাসন অবশ্য এ দিনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শনি ও রবি, অর্থাৎ সপ্তাহান্তে সম্পূর্ণ লকডাউন থাকবে রাজ্যে।