নাগরোটা এনকাউন্টারে আরও স্পষ্ট পাকিস্তান যোগ! রিমোট কন্ট্রোল ছিল কার হাতে?
বৃহস্পতিবার ভোরে জম্মুতে অবস্থিত নাগরোটাতে একটি এনকাউন্টারে সেনার গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ৪ জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গির। জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কের বান টোল প্লাজায় ঘটে যাওয়া সেই ঘটনার নেপথ্যে থাকা পাকিস্তানের ভূমিকে ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল যে এই এনকাউন্টারটি ভাগ্যক্রমে হয়েছে। তবে পরবর্তীতে জানা যায়, নির্দিষ্ট গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতেই সেখানে কড়া নজরদারি চলছিল, যার ফলে এই জঙ্গিদের রুখে দেওয়া সম্ভব হয়।
পাকিস্তানের মুখ পুড়ছে নাগরোটা কাণ্ডে
এনকাউন্টার নিয়ে যত তথ্য সামনে আসছে, ততই পাকিস্তানের মুখ পুড়তে শুরু করেছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, এই চার জঙ্গি পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের শীর্ষ নেতৃত্বদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল। জঙ্গিদের কাছ থেকে পাওয়া মোবাইলের জিপিএস ট্র্যাক করে এই তথ্য মিলেছে।
মাসুদ আজহার যোগ
জইশ কমান্ডার মুফতি রউফ আশগার এবং কারি জারারের সঙ্গে যোগাযোগে ছিল ৪ জঙ্গির। উল্লেখ্য, মুফতি রউফ আশগার হল রাষ্ট্রসংঘের দ্বারা চিহ্নিত নিষিদ্ধ জঙ্গি মাসুদ আজহারের ছোটো ভাই। এদিকে মোবাইলের জিপিএস ছাড়াও বহু পরোক্ষ প্রমাণ মিলেছে যা থেকে এটা স্পষ্ট যে এই জঙ্গিরা পাকিস্তান থেকে এসেছিল।
'মেড ইন পাকিস্তান'
মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে জুতো, এমনকী মৃত জঙ্গিদের কাছ থেকে মেলা ওষুধে পর্যন্ত 'মেড ইন পাকিস্তান' ট্যাগ রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, পুলওয়ামার ধাঁচে কাশ্মীরের নাগরোটায় বিস্ফোরণ ঘটানোর চেষ্টা করছিল জঙ্গিরা। এর আগে পুলওয়ামায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণে পাকিস্তান নিজেদের যোগ অস্বীকার করেছিল। এবারও সেরমটা করারই সম্ভাবনা বেশি।
ভোটের আগে বড় হামলার ছক
এদিকে জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ২ কনস্টেবল জখম হয়েছিলেন৷ নিরাপত্তারক্ষীরা এই এনকাউন্টারের বিষয়ে জানান, জঙ্গিরা একটি ট্রাকে লুকিয়ে শ্রীনগর হাইওয়ে দিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের আটকায়৷ জম্মু ও কাশ্মীরের তরফে জানানো হয়েছিল, জঙ্গিরা কাশ্মীর উপত্য়কার দিকে যাচ্ছিল৷ যেখানে এ মাসের শেষে নির্বাচন রয়েছে৷ সেই কারণেই গতকাল পুলিশ প্রশাসন আশঙ্কার প্রকাশ করে, হয়ত জঙ্গিরা ভোটের আগে সেখানে বড় কোনও হামলার পরিকল্পান করেছিল৷
বিপুল পরিমাণে অস্ত্র উদ্ধার
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত জঙ্গিদের কাছ থেকে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ১১টি একে ৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল, ২৪টি ম্যাগাজিন, ৭.৫ কেজি আরডিএক্স, ২০ মিলিমিটারের আইইডি তার, ৬টি ডিটোনেটর। এছাড়াও আন্ডার ব্যারেল গ্রেনেড লঞ্চার, ২৯টি গ্রেনেড, ৫টি রাইফেল গ্রেনেড, তিনটি পিস্তল, ৬টি ম্যাগাজিন, ওয়্যারলেস সেট এবং জিপিএস মিলেছে তাদের কাছ থেকে।
তাহলে কি ওদের চা খাওয়াবো? চাঁচাছোলা ভাষায় ফের পরিবর্তনের ডাক দিলীপ ঘোষের