হোলির দিন দেশি মদ খেয়ে এখনও পর্যন্ত বিহারের তিন জেলায় মৃত্যু ৩৭ জনের, চলছে তদন্ত
হোলির দিন দেশি মদ খেয়ে এখনও পর্যন্ত বিহারের তিন জেলায় মৃত্যু ৩৭ জনের, চলছে তদন্ত
হোলির দিন বিহারের তিন জেলায় দেশি মদ খেয়ে মৃতের সংখ্যা ক্রমশঃ বাড়ছে। বিহার পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত দেশি মদ খেয়ে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রসঙ্গত, বিহারে মদ নিষিদ্ধ সত্ত্বেও অ্যালকোহল মাফিয়াদের হাত ধরে এ রাজ্যে মদ প্রবেশ করছে।
অধিকাংশ মৃত্যু ভাগলপুরে
অধিকাংশ মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে ভাগলপুর জেলা থেকে। এখানে শনিবার পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ১২ জন প্রাণ হারিয়েছে বাঁকা জেলায় ও ৩ জন মাধেপুরাতে। যদিও পুলিশ এই মৃত্যুগুলিকে রহস্যজনক বলে অ্যাখা দিয়েছে এবং তদন্তের পরই আসল মৃত্যুর কারণ বলা হবে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে যে কিছু মানুষের মৃত্যু হয়েছে দেশি মদ খেয়ে অন্যদিকে অন্যান্যরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আমরা মৃতদের ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি যাতে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যেতে পারে।' তিনি এও বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট জেলার এসপিদের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে যত দ্রুত সম্ভব সদর দফতরে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।'
তিন জেলায় মৃত্যু দেশি মদ খেয়ে
ভাগলপুরে, এই দেশি মদ খেয়ে সাহেবগঞ্জে ও নারায়ণপুর ব্লকের গ্রামগুলিতে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাঁকাতে, অমরপুর পুলিশ থানার অন্তর্গত বিভিন্ন গ্রামে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, মাধেপুরে মুরলিগঞ্জ পুলিশ থানার অন্তর্গত গ্রামগুলিতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন যে শুক্রবার আক্রান্তরা দেশি মদ খায় এবং শনিবার হোলির সকাল থেকে তাদের স্বাস্থ্যের অবনতি হতে শুরু করে। আক্রান্তরা পেট ব্যথা, বমি ও ঘন ঘন মল হওয়ার অভিযোগ করেছে। ভাগলপুর, বাঁকা ও মাধেপুরার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে অসুস্থদের ভর্তি করা হয়েছে চিকিৎসার জন্য।
পুলিশ আগেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি
ভাগলপুরের সাহেবগঞ্জের বাসিন্দা কুমার গৌরব দাবি করেছেন যে তিনি স্থানীয় পুলিশকে তাঁদের এলাকায় মদ বিক্রির বিষয়ে জানিয়েছিলেন কিন্তু পুলিশ পদক্ষেপ করতে অস্বীকার করে। গৌরব এক স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘মদ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য আমি স্থানীয় পুলিশকে জানিয়েছিলাম। এমনকী আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ও আমি পুলিশকে পদক্ষেপের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তারা কোনও জবাব দেয় না।'
মদ নিষিদ্ধ বিহারে
এখানে উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে রাজ্যে মদকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বিহার সরকার ৷ এই আইনে মদ বিক্রি, পান করা ও তৈরি করা সবই বেআইনি বলে ঘোষণা করা হয় ৷ এই অপরাধের জন্য সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা ও যাবজ্জীবন সাজাও ঘোষণা করা হয় ৷ তবে ২০১৮ সালের সংশোধনীতে এই আইনে দোষী সাব্যস্তদের সাজার ক্ষেত্রে কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছিল ৷ বিহারে এই আইন জারি হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত আইন ভাঙার অভিযোগে তিন লাখেরও বেশি মামলা দায়ের হয়েছে।
ভারতী ঘোষের পরে আরও এক পুলিশ আধিকারিক 'মা' ডাকলেন মমতাকে! কটাক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর জয় নিয়ে